গিরিশ মঞ্চ, বাংলা আকাদেমি, ইজেডসিসি সভাগৃহে সাজসাজ রব।
ওমিক্রনের দাপট কমতেই থিয়েটারের থার্ড বেলের ঘণ্টি আগের তুলনায় নিয়মিত। দর্শক, শিল্পী- উভয়েই যেন খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিয়ে বাঁচছেন। দর্শক উপস্থিতি বাড়তেই টাটকা অক্সিজেন পেয়েছে নাট্য দুনিয়াও। ফলাফল, ২ মার্চ থেকে নাট্য সংস্থা পূর্ব পশ্চিম-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘পূর্ব পশ্চিম নাট্যোৎসব’। সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক ও পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র। উৎসব চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত। সেই উপলক্ষে গিরিশ মঞ্চ, বাংলা আকাদেমি, ইজেডসিসি সভাগৃহে সাজসাজ রব।
প্রতি বারের মতো এ বারের উৎসবেও থাকবে একমুঠো নানা স্বাদের নাটক। নাট্যপ্রেমীরা পাঁচ দিন রাতদিন নাটকে ডুব দিতে আর কী কী উপাদান পাবেন? সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পূর্ব পশ্চিম-এর কর্ণধার সৌমিত্র মিত্রের সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘‘উৎসব শুরু ২ মার্চ সন্ধে ৬টায়। মঙ্গলশঙ্খ বাজাবেন ওড়িশার রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস। নাট্য নির্দেশক, অভিনেতা রমাপ্রসাদ বণিক চলে যাওয়ার পর থেকেই আমরা ওঁর নামে একটি বিশেষ সম্মাননার আয়োজন করেছি। এ বছর সেই ‘রমাপ্রসাদ বণিক স্মারক সম্মাননা’ পাবেন পৃথ্বীশ রানা। জীবনকৃতি সম্মান পাবেন প্রকাশ ভট্টাচার্য। শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপনে ডঃ অভিজিৎ চৌধুরী, দীপা বর্ধন, অসিত বসু, রাজীব বর্ধন।’’
নাটকের তালিকায় থাকবে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের ‘পাগলপারা’, পূর্ব পশ্চিমের ‘এক মঞ্চ এক জীবন’। দুই নাটকেই মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দেবশঙ্কর হালদার। থাকবে পূর্ব পশ্চিমের 'কেরানির বৌ', পাইকপাড়া আখরের ‘মথুর পালাকীর্তন’, কাব্যকলা মননের ‘দ্য কাইট রানার’। এ ছাড়া, ৫ মার্চ বইমেলায় পূর্ব পশ্চিম আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান অংশ নেবেন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, শেখর সমাদ্দার।
রাজ্য সরকারের কোভিড বিধি মেনে ৭৫ শতাংশ দর্শকের বসার ব্যবস্থা থাকবে প্রতি সভাগৃহে। পাশাপাশি, পূর্ব পশ্চিমের নিজস্ব সংগঠন ‘পিওর অ্যান্ড পারফেক্ট’ প্রতি দিন উৎসব শুরুর আগে-পরে সভাগৃহ স্যানিটাইজেশন করবে। মাস্ক ছাড়া কোনও দর্শককে প্রবেশের অনুমতিও দেওয়া হবে না। সৌমিত্রের আশা, এত বিধিনিষেধও দর্শকসংখ্যায় আঁচ ফেলতে পারবে না। কারণ, ওমিক্রন নিয়ন্ত্রিত হওয়ার পরেই পূর্ব পশ্চিম একাধিক শো করেছে। সেখানে দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোই।