Prasenjit Chatterjee

Prosenjit: কথা রাখলেন বুম্বাদা, ভিডিয়ো কলে কথা বললেন সোনামণির সঙ্গে

স্বপ্নের নায়ক সোনামণির খবরাখবর নিয়েছেন, তাঁকে ভাল থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২ ১২:২০
Share:

স্বপ্নের নায়ক সোনামণির খবরাখবর নিয়েছেন

কথা দিয়েছিলেন সোনামণিকে। এক দিন সময় করে পাতানো বোনের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁর ‘বড়দা’। বৃহস্পতিবার সেই কথা রাখলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ভিডিয়ো কলে তিনি কিছুক্ষণের জন্য পৌঁছে গিয়েছিলেন শিলাজিৎ মজুমদারের দত্তক গ্রাম গড়গড়িতে। মোবাইলের কল্যাণে এই প্রথম সরাসরি মুখোমুখি বু্ম্বাদা আর তাঁর ‘বোন’। দু'জনের মাঝে সেতুবন্ধন করলেন গায়ক। স্বপ্নের নায়ককে চোখের সামনে দেখে আনন্দে আত্মহারা সোনামণি।

Advertisement

সত্যিই তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন 'অটোগ্রাফ' ছবির অরুণ চট্টোপাধ্যায়! এটুকু বুঝতেই সময় লেগে গিয়েছে সোনামণির। যখনই আত্মস্থ হয়েছেন, তখনই জোড়হাতে কুশল বিনিময়, ‘‘দাদা আমি সোনামণি। তোমার পরিবারের সবাই ভাল আছেন তো?’’ ‘ঝিন্টি’র স্রষ্টার মুখেও সাফল্যের হাসি। তিনিও তৃপ্ত গ্রামের বোনের ঝলমলে মুখ দেখে। টাওয়ারের কারণে খুব আস্তে শোনা গিয়েছে টলিউড ‘ইন্ডাস্ট্রি’র গলা। সোনামণির তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ নেই। চোখের সামনে তাঁর বুম্বাদা নীল সোয়েট শার্টে সেজে হাজির! আর কী চাই? স্বপ্নের নায়কও সোনামণির খবরাখবর নিয়েছেন। তাঁকে ভাল থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে সোনামণির আবদার, প্রসেনজিৎ তাঁর বড়দা। তাই প্রাণ ভরে যেন আশীর্বাদ করেন। এক দিন অবশ্যই যেন সপরিবারে গড়গড়ি গ্রামে আসেন। আবারও কথা দিয়েছেন বড় পর্দার বিখ্যাত নায়ক। অতিমারি কমলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি যাবেন।

শিলাজিৎও ফোনেই বুম্বাদাকে দত্তক গ্রাম গড়গড়ির কিছু অংশ দেখান। সোনামণির এই আলাপচারিতা দেখতে খোলা মাঠে শুরু থেকেই উপস্থিত ছিলেন কয়েক জন গ্রামবাসী। তাঁরাও হুমড়ি খেয়েছেন ফোনের উপরে। কথা শেষ হতে বিদায়পর্ব। দাদা-বোন একে অন্যকে হাত নেড়ে ফের কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রসিকতা করেছেন শিলাজিৎও। তাঁর দাবি, খবর পেলে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বিদায় সম্ভাষণ জানাতে।

Advertisement


বীরভূমের গড়গড়ি গ্রাম। সেখানকার বাসিন্দা সোনামণি রুজ। সম্পর্কে শিলাজিৎ মজুমদারের গ্রামতুতো বোন। শয়নে-স্বপনে-জাগরণে তিনি কাকে চান? শুধুই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সোনামণি এর আগেও বহু বার তাঁর গ্রামের দাদাকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, এক বার যদি কোনও ভাবে বুম্বাদাকে তাঁর সামনে এনে দিতে পারেন। তিনি একটু ছুঁয়ে দেখবেন! শিল্পী তখন আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, অনেক দিন ধরেই মনে হচ্ছিল সোনামণির আবদার কোনও ভাবে যদি ‘কাছের মানুষ’-এর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। সেই ভাবনা থেকেই তিনি ভিডিয়ো বার্তা পৌঁছে দেন বু্ম্বাদাকে। সঙ্গে সঙ্গে সাড়াও দিয়েছিলেন রুপোলি পর্দার নায়ক। এ বার সরাসরি কথা হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement