Rahool-Federation Conflict

শুটিং জট কাটাতে নবান্নে বৈঠকে প্রসেনজিৎ-দেব, মমতার ছোঁয়ায় কি বুধবারই চেনা ছন্দে টলিপাড়া?

মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে গেলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, গৌতম ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তার পর ‘এক্স’ হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন দেব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ১৬:৩৩
Share:

(বাঁ দিক থেকে) অরূপ বিশ্বাস, গৌতম ঘোষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব। ছবি: সংগৃহীত।

সোমবার দুপুর থেকে স্তব্ধ টলিপাড়া। পরিচালক-প্রযোজক এবং ফেডারেশন, টেকনিশিয়ানরা সারলেন বৈঠক দফায় দফায়। তবু মেলেনি রফাসূত্র। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে গেলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, গৌতম ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তার পরই নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন সাংসদ-অভিনেতা দেব। সঙ্গে আশ্বাস, “আশা করি সন্ধ্যার মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে।”

Advertisement

দেব লেখেন, ‘‘খুব শীঘ্রই সব কিছু মিটে যাবে। সন্ধ্যার মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। আশা করছি, বুধবার থেকেই শুরু হবে শুটিং। টেকনিশিয়ান, প্রযোজক থেকে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ।’’

সোমবার দুপুরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেন পরিচালকেরা। তার পর বিকেলে টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ানস স্টুডিয়োয় সাংবাদিক বৈঠক করে ফেডারেশন। সন্ধ্যায় সেখানেই পাল্টা বৈঠকে বসে ডিরেক্টর্স গিল্ড। পরিচালকদের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, রাজ চক্রবর্তী-সহ অনেকেই।

Advertisement

পরিচালকদের অভিযোগ, ফেডারেশন ইচ্ছে মতো একতরফা আইন তৈরি করে। ফলে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে কাজের পরিসর ক্রমশ কমছে। ফিরে যাচ্ছেন বলিউডের বহু নির্মাতা। অন্য দিকে ফেডারেশনের তরফে অভিযোগ ছিল, পরিচালকদের একাংশ ‘ষড়যন্ত্র’ করে সোমবার শুটিং বন্ধ করেছেন। এই প্রসঙ্গে অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, “পরিচালকেরা কাজে আসেননি। কিন্তু আমরা অন্য কোনও বিভাগকে কাজে না আসার জন্য অনুরোধ করিনি।” এই পরিস্থিতিতে সব পক্ষই চাইছিলেন তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ। সোমবার রাতে পরিচালকেরা বলেছিলেন, আইনজ্ঞ ও সিনেমা বোঝেন— এমন কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চান তাঁরা। তার আগে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকের পর রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত সমাধানের কী সূত্র মিলল, তার অপেক্ষায় টলিপাড়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement