তাপসী পান্নু। ছবি- ইনস্টাগ্রাম
দক্ষিণী ছবিতে সেই ২০১০ থেকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাপসী পান্নু। বলিউডি ব্রেক মেলে ২০১৩ তে ‘চশ্মে বাদ্দুর’ ছবিতে। নাম ওঠে শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রীর তালিকাতেও। তারপর একে একে ‘বেবি’, ‘পিঙ্ক’, ‘জুড়য়া ২’...হিটে ভরেছে তাপসীর ঝুলি। যদিও তাপসী অভিনীত ‘দিল জংলী’, ‘রানিং শাদি’ সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি সাধারণের মনে। কিন্তু সম্প্রতি ‘মিশন মঙ্গল’ ছবিতে তাঁর অনবদ্য অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে সমালোচক মহলে।
কিন্তু জার্নিটা খুব একটা সহজ ছিল না। ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে না আসার ফলে বহু বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল বছর একত্রিশের এই অভিনেত্রীকে।
সম্প্রতি ‘হিন্দুস্থান টাইমস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেলুলয়েডে নিজের স্ট্রাগল সম্পর্কে মুখ খুললেন ওই অভিনেত্রী। তাপসী বলেন, “বলিউডি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে না আসার ফলে অনেকেই আপনার সম্পর্কে একটা অন্য ইমেজ তৈরি করতে চায়। আমাকে বলা হয়েছিল, ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। নীতি বিরুদ্ধ কাজ তোমাকে করতে হবে। দিল্লির এক মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয় ওঠা একটি মেয়ের পক্ষে যা সত্যি খুব ভয়ের।”
আরও পড়ুন- কলম্বিয়াই বুঝতে শিখিয়েছিল আমি অভিনেত্রী হতে চাই: সারা
আরও পড়ুন- গোবিন্দার সঙ্গে চেহারার হুবহু মিল! উচ্ছ্বসিত নিক জোনাস
তাপসী অবশ্য নিজেকে ভাগ্যবানও বলেছেন তাঁকে ওই অবস্থার মধ্যে দিয়ে কোনও দিন যেতে হয়নি বলে। তবে অসুবিধা হয়েছিল অন্য জায়গায়। একটা দীর্ঘ সময় নাকি তাঁকে ছবিতে নিতে রাজি ছিলেন না প্রযোজকরা। তাপসীর দাবি, “প্রযোজকরা আমাকে নিতে চাইছিলেন না কেন জানেন? তাঁরা মনে করতেন পাঁচটি দৃশ্যে অভিনয় করেই আমি তাঁদের ছবিকে সুপারহিট বানিয়ে দেব। কিন্তু বাস্তবে তা অসম্ভব। তাঁরা মনে করতেন আমি অপয়া। আমার কর্মক্ষমতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিতেন তাঁরা। ভয় হত। খুব ভয় হত। কিন্তু ঈশ্বরকে অশেষ ধন্যবাদ। ওই কথাগুলো আমায় খুব একটা প্রভাবিত করেনি।”