‘পরিণীতা’ খ্যাত পরিচালকের প্রয়াণের পর তাঁর স্মৃতিচারণায় প্রযোজক দীপক মুকুল। — ফাইল চিত্র।
শুক্রবার সাধারণত ছবি মুক্তির দিন। সেই দিনেই সকালে এল দুঃসংবাদ। প্রয়াত হয়েছেন বলিউডের অন্যতম খ্যাতনামা বাঙালি পরিচালক প্রদীপ সরকার। টুইটারে প্রথম এই খবর জানান পরিচালক হনসল মেহতা। সমাজমাধ্যমের পাতায় পরিচালক লেখেন, ‘‘প্রদীপ সরকার দাদা, আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।’’
‘পরিণীতা’ খ্যাত পরিচালকের প্রয়াণের পর তাঁর স্মৃতিচারণায় প্রযোজক দীপক মুকুল। দীপক জানান, ষাট ও সত্তরের দশকের বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়া রাজবংশের জীবন অবলম্বনে একটি ছবির কাজে হাত দিয়েছিলেন প্রদীপ সরকার। ‘প্রিয়া ইনটারাপ্টেড’ নামক এই ছবি ছিল তাঁর স্বপ্নের প্রজেক্ট। এই ছবির কাজেই নাকি ডুবে ছিলেন প্রদীপ সরকার। দীপক মুকুলের দাবি, চলতি বছরেই শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ছবির। এমনকি, ছবির গল্প, পোশাক ও সেট পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছিলেন প্রদীপ। ‘‘শুটিং শুরু হওয়ার আগেই সব ছেড়ে চলে গেলেন তিনি,’’ দীপকের গলায় বিষাদের সুর।
‘প্রিয়া ইনটারাপ্টেড’ নামক এই ছবি ছিল প্রদীপের স্বপ্নের প্রজেক্ট। এই ছবির কাজেই নাকি ডুবে ছিলেন পরিচালক।
১৯৬৪ সালে ‘হকিকত’ ছবিতে বলিউডে অভিষেক হয় প্রিয়া রাজবংশের। লন্ডনে পড়াশোনা করাকালীন তাঁর একটি ছবি এসে পৌঁছয় বলিউডের তদানীন্তন এক তারকার কাছে। তার পরেই প্রিয়ার বলিউড যাপন শুরু। বলিউড কিংবদন্তি দেব আনন্দের দাদা চেতন আনন্দের বিবাহবিচ্ছেদের পর তাঁর সঙ্গে আমৃত্যু সম্পর্কে ছিলেন প্রিয়া। থাকতেন জুহুর রুইয়া পার্কের কাছে চেতন আনন্দের বাংলোয়। প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে আইনি ভাবে বিচ্ছেদ না হওয়ায় কখনও বিয়ে করেননি চেতন আনন্দ ও প্রিয়া রাজবংশ। তবে চেতন আনন্দের সঙ্গে প্রেমের পর শুধু মাত্র তাঁর ছবিতেই অভিনয় করতেন প্রিয়া। ‘কুদরত’ ছবিতে রাজেশ খন্না, হেমা মালিনীর সঙ্গেও অভিনয় করেছেন প্রিয়া। ২০০০ সালে চেতন আনন্দের দুই ছেলে কেতন আনন্দ ও বিবেক আনন্দের হাতে খুন হন প্রিয়া রাজবংশ।