Sara Ali Khan

‘আব্বা আমাদের সঙ্গে থাকে না কেন?’ অমৃতাকে ফ্যাসাদে ফেলে জিনিস আদায় করতেন সারা

বিবাহবিচ্ছেদের পর সারা এবং ইব্রাহিমকে নিজের কাছে রেখে বড় করেছেন অমৃতা। হাসিখুশি থাকতেন সারা ক্ষণ। সইফের সঙ্গে দাম্পত্যে তাঁর মুখের সব হাসি যেন শুকিয়ে গিয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪৩
Share:

সইফ-অমৃতার বিয়ে হয়েছিল ১৯৯১ সালে, তেরো বছরের দাম্পত্যের অবসান হয় ২০০৪ সালে, বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংহের যখন বিবাহবিচ্ছেদ হয়, সারা আলি খান এবং তাঁর ভাই ইব্রাহিম আলি খান তখন অনেকটাই ছোট। সম্প্রতি ‘গ্যাসলাইট’ ছবির প্রচারে এসে সারা স্বীকার করেছেন, শৈশবে তাঁরা যাবতীয় দুষ্টুমির দায় চাপিয়ে দিতেন তাঁদের বিবাহবিচ্ছিন্ন মা-বাবার উপরে। বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তাঁদের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে জেনেই সারা ও ইব্রাহিম অবাধে এটা-ওটা চেয়ে নিতেন বাবা-মায়ের কাছে। এখনও, এই বয়সেও মাঝেমধ্যে এমনটা করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Advertisement

সইফ-অমৃতার বিয়ে হয়েছিল ১৯৯১ সালে, তেরো বছরের দাম্পত্যের অবসান হয় ২০০৪ সালে, বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। সারা জন্মেছেন ১৯৯৫ সালের ১২ অগস্ট। ইব্রাহিমের জন্ম ২০০১ সালের মার্চ মাসে। ২০১২ সালে করিনা কপূরকে বিয়ে করেন সইফ। তাঁদের দুই সন্তান তৈমুর এবং জহাঙ্গির।

বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তাঁদের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে জেনেই সারা ও ইব্রাহিম অবাধে এটা-ওটা চেয়ে নিতেন বাবা-মায়ের কাছে।

আসন্ন ছবির প্রচার অনুষ্ঠানে সারাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কখনও তিনি এবং তাঁর ভাই বাবা-মাকে দোষারোপ করেছেন কি না। সারা জানান, করেছেন। তাঁর কথায়, “১১ বছর বয়সে মাকে বলেছি, আব্বা সঙ্গে থাকে না কেন? তুমি অমুকটা দাও। ১৫ বছর বয়সে বাবাকে বলেছি, তুমি সঙ্গে থাকো না কেন, অমুকটা দাও তা হলে।” সারা সলজ্জ হেসে জানান, এখনও মাঝেমধ্যে আবদার করেন। বিবাহবিচ্ছেদের পর সারা এবং ইব্রাহিমকে নিজের কাছে রেখে বড় করেছেন অমৃতা। তবে হাসিমুখেই সেই দায়িত্ব পালন করেছেন।

Advertisement

যখন সইফের সঙ্গে থাকতেন তাঁর মুখের সব হাসি যেন শুকিয়ে গিয়েছিল। সারা বলেন, “৯ বছর বয়স থেকেই আমার মধ্যে এই পরিণতি বোধ আমার এসে গিয়েছিল যে, বুঝতে পারতাম এক ছাদের তলায় থেকে বাবা-মা খুশি নয়। আলাদা জায়গায় থাকতে শুরু করার পর তারা অনেক বেশি আনন্দে ছিলেন।” সারা আরও বলেন, “শেষ ১০ বছর মাকে হাসতে দেখিনি, তার পর যখন বাবার একটা আলাদা বাড়ি হল আর মায়ের আর একটা, মুখে হাসি ফুটল দু’জনেরই। আমিও খুব খুশি, বাবা এবং মায়ের দু-দু’টো বাড়ি থাকলে কে না খুশি হয়!” পবন কৃপালনীর ‘গ্যাসলাইট’ ছবিতে সারা এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। নিরুদ্দেশ বাবাকে খুঁজতে গিয়ে রহস্যের গন্ধ পায় সেই মেয়ে। এই থ্রিলারে সারার সঙ্গে আছেন চিত্রাঙ্গদা সিংহ, বিক্রান্ত ম্যাসি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement