(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা চোপড়া (ডান দিকে) মধু চোপড়া। ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জয় করেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তারও বছর তিনেক পরে বলিউডে অভিষেক। সেখান থেকে তিনি এখন আন্তর্জাতিক তারকা। নারীপ্রধান ছবির জোয়ার যখন আসছে বলিউডে, তখন একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন অভিনেত্রী। তা সত্ত্বেও নাকি একাধিক বার নিজের গায়ের রঙের জন্য কথা শুনতে হয়েছে প্রিয়ঙ্কাকে। তাঁকে বার বার মনে করানো হয়েছে, তিনি নাকি মোটেই 'নায়িকাসুলভ' নন। এমনকি, গায়ের রং নিয়ে নানা কটাক্ষও শুনতে হয়েছে। তবে এখন তিনি আত্মবিশ্বাসী। অথচ, প্রিয়ঙ্কার জীবনেও একটা সময় এসেছে যখন হীনম্মন্যতায় ভুগেছেন অভিনেত্রী। হারিয়ে ফেলেছেন আত্মবিশ্বাস। একটা সময় নাকি ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজ়র্ডার ’-এ ভুগতে হয়েছে তাঁকে!
অভিনেত্রী মা মধু চোপড়া পেশায় চিকিৎসক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর মা জানান, আত্মীয় পরিজনের কাছে কটাক্ষের কারণেই নাকি প্রিয়ঙ্কা এক সময় মানসিক অবসাদে ভুগেছেন। পঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে তিনি। পরিবারের সকলেই প্রায় ফর্সা। তবে, তাঁর গায়ের রং শ্যামলা। মধু বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, খুব ছোট বয়স থেকেই প্রিয়ঙ্কা ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজ়র্ডার’-এ আক্রান্ত। বাড়িতে সবাই ফর্সা। তবে প্রিয়ঙ্কা তাঁর বাবার গায়ের রং পায়। সেই কারণে অনেকেই কটাক্ষ করত ওকে। আমার ধারণা, সেটা ওর মনে গেঁথে গিয়েছিল।’’
যদিও শেষে অভিনেত্রীর মা জানান, যতই তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ হোক না কেন্ তিনি ছোট বয়স থেকে আত্মবিশ্বাসী। মেয়ের ব্যক্তিত্ব নাকি মুগ্ধ করত মা মধুকে। ছোট বয়সের সেই অভিজ্ঞতার পর বলিউডেও নাকি গায়ের রং নিয়ে বৈষম্যের সম্মুখীন হন অভিনেত্রী। অবশ্য নিজের কাজ দিয়ে নায়িকার সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। দাপটের সঙ্গে হলিউড থেকে বলিউড পর্যন্ত বিস্তৃতি পেয়েছে তাঁর কাজের পরিধি।