বলিউডের উপর ক্ষুব্ধ প্রিয়মণি
‘আইয়ো! কেয়া বোলতা জি?’
বলিউড ছবিতে দক্ষিণী চরিত্ররা ঠিক কী ভাবে কথা বলেন? দক্ষিণ ভারতীয় টানে হিন্দি বলাই কি সেই সব চরিত্রের একমাত্র বিশেষত্ব? এমনই প্রশ্ন তুলে মুম্বই চলচ্চিত্র জগৎকে একহাত নিলেন দক্ষিণী নায়িকা প্রিয়মণি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, হিন্দি ছবিতে দক্ষিণী চরিত্রকে দেখানো হয় শুধুমাত্র এক দিক থেকেই— যে চরিত্র হিন্দিটা ঠিকমতো বলতে পারে না। ‘ফ্যামিলি ম্যান’-এর অভিনেত্রীর প্রশ্ন, দক্ষিণ ভারতীয় নায়িকা হেমা-রেখা-শ্রীদেবীদের জয়জয়কার যে বলিউডে, সেখানেই এমন হাল হয় কী করে?
ষাটের দশক থেকে নব্বইয়ের দশক। বলিউড নায়িকা হিসেবে রাজত্ব করে গিয়েছেন বৈজয়ন্তীমালা, হেমা মালিনী, রেখা, শ্রীদেবীরা। প্রত্যেকেই দক্ষিণী। তাঁদের উচ্চারণে দক্ষিণ ভারতীয় টান ছিল কি ছিল না, তা নিয়ে কখনও মাথাই ঘামায়নি মায়ানগরী। বরং পর্দায় তাঁদের উপস্থিতি বুঁদ করে রেখেছে একের পর এক প্রজন্মের দর্শককে। অথচ সেই বলিউডেই পরবর্তী তিন দশকে রজনীকান্ত, কমল হাসন, অরবিন্দ স্বামী, মধু, প্রভুদেবা, আর মাধবন, জেনেলিয়া ডিসুজা বা হালফিলের ধনুষ ছাড়া বিশেষ কেউ সে ভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি। এবং তাঁরাও কেউই বেশি দিন বলিউডে নায়ক-নায়িকা হিসেবে রাজত্বও করেননি। দক্ষিণীরা বলিউডে এসেছেন বটে, তবে মূলত পার্শ্বচরিত্রেই। আর সেখানেই ক্ষোভ প্রিয়মণির। কারণ, এই পার্শ্বচরিত্রগুলির বেশির ভাগই ঠিকমতো হিন্দি বলতে না পারা চরিত্র, কিংবা রসিকতার পাত্র হিসেবেই এসেছেন পর্দায়।
তবে বলিউডের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে খানিকটা হলেও আশাবাদী প্রিয়মণি। বেশ কয়েক বছর হল মুম্বইয়ে ইন্ডাস্ট্রির কলাকুশলীদের সিংহভাগ দক্ষিণ ভারতীয়। ইদানীং বলিউডের দর্শকদের মধ্যে তামিল, তেলুগু, কন্নড়-সহ বিভিন্ন দক্ষিণী ছবি দেখার প্রবণতা বাড়ছে। দেশ জুড়ে সাম্প্রতিক ছবি ‘পুষ্পা’র বিপুল সাফল্য তারই প্রমাণ। দক্ষিণী অভিনেতারা বলিউড-সহ গোটা দেশে প্রাপ্য সম্মান পেতে শুরু করেছেন, তাতেই কিছুটা হলেও অভিমান ভাঙছে প্রিয়মণির।
তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম ছবির ব্যস্ত নায়িকা প্রিয়মণিকে কিছু দিনের মধ্যেই দেখা যাবে অজয় দেবগণের বিপরীতে, ‘ময়দান’ ছবিতে। মুক্তির অপেক্ষায় রানা ডগ্গুবাতির সঙ্গে দক্ষিণী ছবি ‘বিরাট পর্বম’ও।