ছবি-বিতর্কে মুখ খুললেন মহেশ
তাঁর মরাঠি ছবি ‘নায় ভরন ভাট লোঞ্চা কোন নায় কোঞ্চা’ নিয়ে মামলা হওয়ায় তিতিবিরক্ত মহেশ মঞ্জরেকর। ছবিতে নারী ও শিশুকে নিয়ে আপত্তিকর দৃশ্য রয়েছে, এমন অভিযোগ এনে পরিচালক মহেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারই মামলা দায়ের করেছে ক্ষত্রিয় মরাঠা সেবা সংস্থা। বান্দ্রা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় দাবি করা হয়েছে, নারীকে কুরুচিপূর্ণ ভাবে দেখানো হয়েছে ওই ছবিতে। তার জবাবে বিরক্ত মহেশ পাল্টা বলেছেন, দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ছবি হিসেবে শংসাপত্র পেয়েছে ‘নায় ভরন ভাট লোঞ্চা কোন নায় কোঞ্চা’। তার পরে সকলের সব আপত্তিতে কান দিতে গেলে ছবি করাই মুশকিল বলে জানিয়েছেন প্রবীণ পরিচালক।
গত ১৪ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে মহেশের ছবি। তার একটি দৃশ্যে এক নাবালককে বুকে টেনে নিচ্ছেন অভিনেত্রী কাশ্মীরা শাহ। সেই মুহূর্তটিকে আপত্তিকর এবং অপসংস্কৃতির তকমা দিয়েই মামলা করেছে ক্ষত্রিয় মরাঠা সেবা সংস্থা। ছবিতে ‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে যৌনতাপূর্ণ বিষয়বস্তু প্রকাশ’- এর বিরোধিতা করেছেন তাঁরা। এখানে মহেশের যুক্তি, “সেন্সর বোর্ড ছবিটি দেখেছে এবং তারা অনুমোদন দেওয়ার অর্থ— আপত্তিকর আর কিছু এতে নেই। ছবিটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং ডার্ক। তাকে সেই নজরেই দেখতে হবে।” একই সঙ্গে তাঁর দাবি, “একটি ছবির বিভিন্ন দৃশ্য নিয়ে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকম ওজর-আপত্তি থাকে। আপত্তি করার অধিকারও তাঁদের আছে। তাতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। ছবি করা আমার কাজ, আমি করে যাব। বাকিটা কী হবে, সেটা প্রযোজকের সিদ্ধান্ত।”
আর নারীদের আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ ভাবে দেখানোর অভিযোগ নিয়ে কী বলছেন মহেশ? ৬৩ বছরের পরিচালকের বক্তব্য, “২৫টিরও বেশি ছবি বানিয়েছি। মহিলাদের এ ভাবে দেখানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি কখনও।”
শুরু থেকেই বিতর্কে মহেশের এই মরাঠি ছবিটি। ছবিতে বেশ কিছু আপত্তিকর দৃশ্য রয়েছে বলে এর আগে জাতীয় মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানায় মহারাষ্ট্রের ভারতীয় স্ত্রী শক্তি সংগঠন। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাও ছবি নিয়ে আপত্তি তোলেন। প্রাপ্তবয়স্কদের ছবি হিসেবে শংসাপত্র থাকা সত্ত্বেও ছবি থেকে বেশ কয়েকটি দৃশ্য বাদ যায়। কাঁচি চালানো হয় প্রচার ঝলকেও। তার পরে ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল ক্ষত্রিয় মরাঠা সেবা সংস্থার আপত্তিতে।