শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
হাতেগোনা কয়েকটি দিন। শারদীয়া দোরগোড়ায়। বাঙালির সব কিছু নতুনের মধ্যে নতুন ছবিও এই উদ্যাপনে চাই। গত বছর থেকে উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার এই উদযাপনে শামিল, পুজোয় নতুন ছবি উপহার দিয়ে। গত বছরের মতো এ বছরেও প্রযোজনা সংস্থার ঝুলিতে অ্যাকশন-থ্রিলার। যাঁরা নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবির অনুরাগী, এ বছর তাঁদের কাছে বাড়তি উন্মাদনা, পর্দায় প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার লড়াইয়ের নানা দৃশ্য। যার আভাস ছবির প্রথম ঝলকে।
কেমন লাগল অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করে? আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চেয়েছিল পর্দার‘বহুরূপী’র কাছে। জানালেন, ছবির দৃশ্য নিখুঁত করবেন বলে দুর্ঘটনায় কোমরের হাড় ভাঙার পরেও সেটে ফিরে আবারও লড়াইয়ের দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন তিনি! ‘বডি ডাবল’ ছাড়াই। শিবপ্রসাদের কথায়, “এ ব্যাপারে প্রশিক্ষক সৌভিক আমায় খুব সাহায্য করেছিলেন। আমায় স্ট্রেচিং করিয়েছিলেন। যার জোরে কোমরে চোট থাকা সত্ত্বেও সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়া, দৌড়ঝাঁপ, পিছলে বেশ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার মতো দৃশ্যে অভিনয় করতে কোনও অসুবিধা হয়নি।” এ ছাড়া, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোমরে বেল্ট বাঁধা ছিলই।
ছবিতে শিবপ্রসাদের সহ-অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়। যিনি ভীষণ ভাবে শরীরের যত্ন নেন। অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় তাঁর কাছে জলভাত। শিবপ্রসাদের নায়িকা কৌশানি মুখোপাধ্যায়ও শরীরচর্চায় মনোযোগী। আগের অভিনীত ছবিগুলোতে অল্পবিস্তর লড়াইয়ের দৃশ্য করেছেন। সেই জায়গায় প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা নবীন। ভয় করেছে? না কি, চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন? সঙ্গে সঙ্গে ঝকঝকে জবাব, “বিপরীতে চোস্ত অ্যাকশন জানা অভিনেতা থাকলে কাজ করার মজাই আলাদা। মারপিটের প্রত্যেকটা দৃশ্য তাই উপভোগ করেছি।” প্রসঙ্গত, ধাওয়া করার দৃশ্য থেকে মুখোমুখি মারপিট, সবটাই অনায়াসে করেছেন তিনি। আর তার জন্য ১০ কিলো ওজন ঝরাতেও পিছপা হননি শিবপ্রসাদ। এ ছাড়া, নিয়মিত শরীরচর্চা তো ছিলই।
‘বহুরূপী’র ফাইটমাস্টার রাজেশ কান্নান। তিনি কত নম্বর দিলেন শিবপ্রসাদকে? প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, এতটাই বাধ্য ছাত্র ছিলেন যে, কোনও অ্যাকশন দৃশ্যই তাঁর কাছে খুব শক্ত মনে হয়নি। তাঁর সাবলীলতার কারণেই রাজেশও খুশি।
খবর, প্রথম অ্যাকশন করে শিবপ্রসাদ এতটাই খুশি যে, প্রযোজনা সংস্থা আবার এই ধারার ছবি বানালে এবং তাতে তিনি থাকলে আবারও নিজেই অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করবেন!