রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা।
চেনা দুই মানুষ তখন অচেনার গাম্ভীর্যে।
খানিক পরেই আগল ভাঙল।
জড়িয়ে ধরেছিলেন একে অপরকে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
বছর ১৩ পরে আবার মিলন। এ এক এমন জুটি দর্শক যাঁদের রসায়ন বার বার পর্দায় দেখতে চায়।
১৩ বছর পরে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়। পুরনো প্রেমের নতুন দেখার গল্প, আর প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দেখে দর্শক বক্স অফিসে সাফল্য এনে দিয়েছিল।
২৭ মে, ২০১৬। ১ দশকেরও আগের তৈরি গল্পকে পর্দায় নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। তৈরি হয়েছিল ‘প্রাক্তন’। তত দিনে অবশ্য অনেকেই প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণার রসায়ন অতীত বলে ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু সম্পর্কের ভাঙা-গড়ার আখ্যান নিয়েই নতুন করে সামনে এলেন তাঁরা। উজান এবং সুদীপা হয়ে। 'প্রাক্তন' ছবির স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে। উজানের বর্তমান স্ত্রী মালিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অপরাজিতা আঢ্য। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার রসায়নের সঙ্গেই মালিনীর সরল হাসি, অগোছালো কথা মন জয় করেছিল দর্শকদের।
কিন্তু জানেন কি, প্রথমে এই চরিত্রে ভাবা হয়েছিল অন্য এক অভিনেত্রীকে?
পরিচালকদ্বয় প্রাথমিক ভাবে উজানের চরিত্রে প্রসেনজিৎ এবং তার প্রাক্তন স্ত্রীর চরিত্রে ঋতুপর্ণাকে ভাবলেও মালিনীর চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছিলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছিল কথাবার্তা। তবে বিশেষ কিছু কারণের জন্য সেই সময় ছবিটি করতে রাজি হননি ঋতুপর্ণা। সুদীপার চরিত্রে অভিনেত্রীকে না পেয়ে কাজ এগোননি শিবপ্রসাদ এবং নন্দিতা। তবে হাল ছাড়তেও রাজি ছিলেন না তাঁরা। দীর্ঘ ১৩ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে সুদীপার চরিত্রে পর্দায় আসতে রাজি হলেন ঋতুপর্ণা। কিন্তু চিত্রনাট্য পুরোপুরিভাবে তৈরি হওয়ার পর তাঁদের মনে হয়, মালিনীর চরিত্রে অর্পিতার চেয়ে বেশি মানানসই অপরাজিতা। এ বিষয়ে অর্পিতার সঙ্গে কথা বললে ছবির স্বার্থে সরে দাঁড়ান অভিনেত্রী। সুদীপা এবং উজানের মাঝে মালিনী হয়ে আসেন অপরাজিতা।
শিবপ্রসাদ এবং নন্দিতা রচিত এই ৩ চরিত্রের গল্প ‘প্রাক্তন’ নয় এখনও। বছর পাঁচেক পরেও তাই মন খারাপের দিনে এই ছবির সংলাপ, ‘তুমি যাকে ভালবাস’-র সুর আঁকড়ে ধরে অনেকেই।