‘জতুগৃহ’-তে পরমব্রত
আগামী মাসে ৬০-এ পা রাখতে চলেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়! পেশাও বদলাতে চলেছেন বলে খবর। চলতি মাসের শেষে লকডাউন উঠে গেলে তিনি যাজক ‘যোসেফ’। এ খবর তাঁর সামাজিক পাতাতেই রয়েছে। গত ১ মাসেরও বেশি সময় তিনি কোভিড যোদ্ধা হিসেবে অসহায়দের পাশে। আচমকা কেন এই পথ বদল? এত তাড়াতাড়ি তাঁর বয়সই বা বাড়ছে কী করে? অভিনেতার সামাজিক পাতা বলছে, সপ্তাশ্ব বসুর আগামী ছবি ‘জতুগৃহ’-তে তাঁকে নতুন ভাবে দেখতে পাবেন দর্শক। মঙ্গলবার আনন্দবাজার ডিজিটালকে পরিচালক জানিয়েছেন, ‘‘এই প্রথম পরমব্রত নিজের বয়সের থেকে অনেকটা এগিয়ে কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। আমার আগামী ছবিতে তিনি নিষাদগঞ্জের এক চার্চের ৬০ বছরের যাজক।’’
ফোনে পরমব্রতকে পাওয়া যায়নি। বদলে কথা বললেন সপ্তাশ্ব। এর আগে আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনিই প্রথম বলেছিলেন, তাঁর তৃতীয় ছবি ভূতের। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন বনি সেনগুপ্ত-অনামিকা চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই তিনি ‘এখানে আকাশ নীল’ ধারাবাহিকের ‘হিয়া’ হিসেবে জনপ্রিয় সবার কাছে। এ বছরের পয়লা বৈশাখে ছবির ফার্স্ট লুক সামনে এলেও বাকি অভিনেতাদের নাম তখনও ঠিক হয়নি। পরিচালকের দাবি, বনির মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ পরমব্রতর চরিত্র। ২ পুরুষ ১ নারীকে নিয়েই গল্প এগোবে।
কেন ‘যোসেফ’ চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হলেন পরমব্রত? সপ্তাশ্বের দাবি, অনুষ্কা শর্মার ‘পরি’ বা ‘বুলবুল’-এর মতো ভৌতিক ছবিতে অভিনয় করলেও বাংলা ছবিতে পরমব্রতকে ‘যোসেফ’-এর মতো চরিত্রে দেখা যায়নি। তাছাড়া, এই প্রথম তিনি নিজের বয়সের থেকে কমবেশি ২০ বছর এগিয়ে থাকা একটি চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। পরিচালকের আরও দাবি, ‘‘নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা করতে ভালবাসেন পরমব্রত। সম্ভবত তাই চরিত্রের বর্ণনা শুনেই রাজি হয়ে গিয়েছেন।’’ চরিত্রের খাতিরে চেহারায় ভারিক্কি ভাব আনার পাশাপাশি বিশেষ সাজসজ্জাও করতে হবে তাঁকে। পরিচালকের কথায়, আপাতত এ গুলো সবই আলোচনার স্তরে রয়েছে। বিশেষ রূপসজ্জা হিসেবে প্রস্থেটিক মেকআপের কথা ইতিমধ্যেই ভেবেছেন তিনি।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, ছবির শ্যুট শুরু হওয়ার কথা ছিল মে মাসে। আচমকা লকডাউন পরিচালকের সেই ইচ্ছেয় দাঁড়ি টেনেছে। সপ্তাশ্বের মতে, ‘‘লকডাউন উঠলেই জোরকদমে কাজ শুরু করে দেব।’’ ১৯৬৪-তে উত্তমকুমার-অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে তপন সিংহ তৈরি করেছিলেন ‘জতুগৃহ’। পরিচালকের দাবি, ‘‘নামের মিল ছাড়া দুটো ছবি একদম আলাদা। মহাভারতে প্রথম জতুগৃহের উল্লেখ ছিল। বনের মধ্যে তৈরি সহজদাহ্য বাড়ি। সেখানেই পাণ্ডবদের পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করেছিল কৌরবরা। আমার ছবি সেই দিক ছুঁয়ে যাবে।’’