আনন্দবাজার অনলাইনে পাতায় প্রথম প্রকাশ্যে ‘বিসমিল্লা’র পোস্টার।
‘বিসমিল্লা’! না, সানাইবাদকের জীবনী-ছবি নয়। বরং ফারসি শব্দের গন্ধমাখানো আনকোরা এক বাংলা ছবি। যেখানে সুর, গান, প্রেম তো আছেই, আর আছে সব ধর্মের প্রতি সম্মানের গল্প। যা ভারতের গর্ব। এবং ইদানীং যার অভাবে দেশের বিড়ম্বনার অন্ত নেই! তাকেই দ্বিতীয় ছবিতে তুলে ধরতে চলেছেন পরিচালক-সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
ইন্দ্রদীপের ছবির তুরুপের তাস শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন জনকে ঘিরে এক ঝাঁক তারার দ্যুতি। রয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তী, অপরাজিতা আঢ্য, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত প্রমুখ। প্রযোজনায় সমীরণ দাস। ছবিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু দর্শকমহলে। তাকেই আরও উস্কে দিতে আনন্দবাজার অনলাইনে পাতায় প্রথম প্রকাশ্যে ‘বিসমিল্লা’র পোস্টার।
ছবিতে গান আছে। সানাই-বাঁশির সুর আছে। অথচ খ্যাতনামী সানাইবাদক বিসমিল্লা খান কোথাও নেই। তবুও ছবির এই নাম? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছে। ইন্দ্রদীপের কথায়, ‘‘ফারসিতে ‘বিসমিল্লা’ শব্দের আরও একটি অর্থ আছে। ঈশ্বরের নামে যা কিছু শুভ। আমার ছবিও যেন সমাজে, দেশবাসীর মনে শুভ চিন্তা ছড়িয়ে দিতে পারে। পরিচালক হিসেবে এটাই কামনা। ছবির নাম সেই ইচ্ছে বহন করছে।’’ শুভশ্রী-ঋদ্ধি-সুরঙ্গনাকে নিয়ে তৃপ্ত? এ বার পরিচালকের যুক্তি, ইন্দ্রদীপ নিজে অভিনয় করতে পারেন না। কোনটা চাইছেন, সেটা অভিনেতাদের সামনে তুলে ধতে পারেন। শ্যুটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেটাই করেছেন। বাকি দায় অভিনেতাদের।
এই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে বাঁশি আর সানাই ধরতে শিখেছেন ঋদ্ধি। হালকা আফসোস, আরও একটু সময় পেলে নিজেই বাদ্যযন্ত্র দুটো বাজাতেন। সেটা হয়নি। তবে অভিনয় দিয়ে সেই খামতি পূরণ করতে কসুর করেননি কৌশিক সেনের পুত্র। এবং সেই কাজ আরও সহজ হয়েছে পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে পর্দায় ‘বাবা’ হিসেবে পেয়ে। ঋদ্ধির মতে, ‘‘আগের ছবির পরিচালক যদি পরের ছবির সহ-অভিনেতা হন, তা হলে অনেক সুবিধে। আমরা আগে থেকেই একে অন্যকে চিনি-জানি। তাই দৃশ্যের আগে কোনও আলোচনাই করতে হয়নি।’’ তবে এই সুবিধেই একটু ‘চাপ’ সুরঙ্গনার সঙ্গে পর্দায় জুটি বাঁধায়। অভিনেতার কথায়, ‘‘১০ বছরের পরিচিতকে প্রথম দেখার চোখে দেখতে হয়। তবে এটা বেশ লাগে। চ্যালেঞ্জ মনে হয়। উপভোগ করি।’’
এ দিকে টলিউডের খবর, শুভশ্রীই নাকি পর্দায় বিসমিল্লার ‘রাধা’! তাই? সেই রহস্য কিছুতেই ফাঁস করতে রাজি নন নায়িকা। তাঁর দাবি, তা হলে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে কী দেখবেন? তর্কের খাতিরেও তিনিই যদি ‘রাধা’ হন, তবে ‘ছোট্ট কৃষ্ণ’ ঋদ্ধি! পর্দায় প্রেম করতে অসুবিধা হয়েছে? প্রাণখোলা হাসিতেই শুভশ্রীর জবাব, একেবারেই না। বলেছেন, ‘‘বাস্তবেও রাধা বড়। তা ছাড়া, ছবিতে চরিত্র দুটো এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে যে, অভিনয়ের সময়ে কোনও অসুবিধা হয়নি।’’ ছবি নিয়ে উত্তেজিত প্রযোজনা সংস্থা ক্যালাইডোস্কোপের কর্ণধারও। সমীরণের মতে, ভাল বাংলা ছবি পেতে গেলে প্রযোজকদেরই এগিয়ে আসতে হবে। সেটাই তিনি করছেন। ‘কেদারা’, ছোট ছবি ‘কোল্ড ফায়ার’-এর পরে এ বার ‘বিসমিল্লা’। ছবি মুক্তি পাবে জন্মাষ্টমীতে।
আবারও তবে জাতীয় পুরস্কার? হাসতে হাসতে ইন্দ্রদীপের উত্তর— ‘‘বিসমিল্লা’’!