করিনা কপূর।
তাঁকে ‘ফিটনেস ফ্রিক’ বলাই যায়। বলিউডে সাইজ জিরো তিনিই এনেছিলেন। এখন শেখাচ্ছেন কী ভাবে পোস্ট-প্রেগন্যান্সি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে হয়। তৈমুর হওয়ার সময় ১৮ কিলো ওজন বেড়েছিল করিনা কপূরের। ইতিমধ্যেই কিলো দশেক ওজন কমিয়ে ফেলেছেন তিনি।
ক্র্যাশ ডায়েটে করিনা মোটেই বিশ্বাসী নন। গত তিন মাস ধরে ধীরে ধীরে ওজন কমিয়েছেন। কিছু দিনের মধ্যেই ‘বীরে দি ওয়েডিং’-এর শ্যুটিং শুরু করবেন। তার পর রয়েছে কর্ণ জোহরের সঙ্গে ছবিও। সুতরাং, প্রতিদিন নিয়ম করে জিমে যাচ্ছেন তিনি। আগে করিনা মোটামুটি যোগ ব্যায়ামের উপরই ভরসা করতেন। কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ। অতএব, এখন জিমই তাঁর ভরসা।
জিমে কিন্তু মোটেই স্রেফ ওয়েট ট্রেনিং করছেন না করিনা। ফ্রিহ্যান্ড, কার্ডিওর উপর সবচেয়ে জোর দিয়েছেন। মেদ ঝরাতে এর চেয়ে উপযোগী ব্যায়াম আর নেই। ২০-৩০ মিনিট ট্রেডমিলে জোরে হাঁটা, কেটেল বল থেকে রোপ ট্রেনিং সবই রয়েছে তাঁর এক্সারসাইজের তালিকায়। প্রতিদিনই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক্সারসাইজ করেন করিনা। তাঁর ফিটনেস টিপস নিয়ে আমজনতাও ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন অনায়াসে।
শরীরচর্চার ক্ষেত্রে করিনার সঙ্গী অমৃতা অরোরা। দু’জনের কসরতের ভিডিয়ো অমৃতা নিয়মিত পোস্ট করতে থাকেন। সেখানে দেখা যাবে, স্রেফ সিঁড়ি ব্যবহার করে কী ভাবে কার্ডিও করছেন করিনা। তাঁর মতে, শরীরচর্চা করার জন্য একজন সঙ্গী থাকা আবশ্যক। তা হলে যেমন এনার্জি পাওয়া যায়, একঘেয়েমিও আসে না।
করিনা কিন্তু গর্ভাবস্থায় নিজের ওজন নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাননি। তাঁর কথায়, ‘‘তখন ওটাই স্বাভাবিক ছিল। শরীরের জন্য যা যা প্রয়োজন ছিল সব খেয়েছি। ওজন নিয়ে একেবারেই ভাবিনি।’’ তৈমুরের জন্মের তিন মাসের মাথায় করিনা শরীরচর্চা শুরু করেন। সেই থেকে একেবারে কড়া ডায়েট আর এক্সারসাইজের মধ্যে রয়েছেন। ‘‘আমি জানি, চট করে ওজন কমবে না। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে সময় নিয়েই কমাতে চাই। ক্র্যাশ ডায়েট এই সময় একেবারেই চলবে না। বাচ্চা হওয়ার সময় একজন মায়ের শরীর থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম চলে যায়। সেটাই সবচেয়ে আগে পূরণ করতে হবে। আমি এখন প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস দুধ এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাই।’’ করিনা কিন্তু রোগা হওয়ার চর্চার মধ্যে দিনে দু’বেলা পরিমাণ মতো ভাত খান। তার সঙ্গে ভিটামিন বি টুয়েলভ, আয়রন সমৃদ্ধ খাবার তাঁর ডায়েটে রাখা হয়েছে।
করিনা চেয়েছিলেন ‘টশন’-এর সময়কার ডায়েটে ফিরে যেতে। কিন্তু তাঁর ডায়েটেশিয়ান ‘না’ করে দেন। বাচ্চা হওয়ার পর শরীরে হরমোনগত অনেক বদল আসে। তখন চটজলদি ওজন কমানোর চেষ্টা হিতে বিপরীত হতে পারে।