১৯৯৩-এর ‘বাজিগর’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল শিল্পা শেট্টির। তারপর একের পর এক ছবি করে গিয়েছেন। ১৪ বছর পর ফের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর।
‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’, ‘হাতকড়ি’, ‘ছোটে সরকার’, ‘হিম্মত’, ‘ইনসাফ’, ‘আজাদ’, ‘ধড়কন’, ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’-র মতো একাধিক ভিন্ন ধারার ছবিতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন।
এক সময় বলিউডের প্রথমসারির নায়িকার তালিকায় গণ্য করা হত তাঁকে। কিন্তু নবাগতাদের ভিড়ে ২০০৬-এর পর থেকেই বলিউডে তাঁর দাপট কমতে শুরু করে। ২০০৭-এর আপনে-র পর থেকে যে ক’টি ছবি করেছেন, সব ক’টিতেই মূলত আইটেম নম্বর জুটেছিল তাঁর।
২০০৭-এর ‘ওম শান্তি ওম’, ২০০৮-এর ‘দোস্তানা’এবং এর ৬ বছর পর ‘ধিস্কিআও’ ছবিতে আইটেম নম্বর ছিল তাঁর।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর তাঁর ‘হাঙ্গামা ২’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন শিল্পা। কিন্তু এরই মধ্যে স্বামী রাজ কুন্দ্রার কীর্তি তাঁকে ফের শিরোনামে নিয়ে এসেছে।
ছবির বাইরে খবরের শিরোনাম হতে এই প্রথমবার দেখা গেল না শিল্পাকে। ভিন্ন ভিন্ন কারণে অন্তত ৫ বার খবরের শিরোনাম হলেন তিনি।
১৯ জুলাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পর্ন ছবি বানানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন শিল্পার স্বামী রাজ। জেরা করা হয়েছে শিল্পাকেও। এই ঘটনা নিয়েও এখন তোলপাড় দেশ।
স্বামীর হঠাৎ গ্রেফতারিতে শিল্পার দিকেও আঙুল উঠতে শুরু করেছে। স্বামীর এই কাণ্ড স্ত্রী শিল্পা কি জানতেন না? আর জানলে সব জেনে কী ভাবে তিনি চুপ করে বসে ছিলেন? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শিল্পাকে নিয়ে।
‘ইনসাফ’, ‘জানোয়ার’, ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’, ‘ধড়কন’—অক্ষয় কুমারের সঙ্গে একাধিক ছবি করেছেন শিল্পা। এক সময়ে দু’জনের ঘনিষ্ঠতাও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
অক্ষয় এবং শিল্পার প্রেম নিয়ে গুঞ্জন কম হয়নি। আবার দু’জনের বিচ্ছেদও হয়েছে বহু বিতর্কের পর। শিল্পা জানতে পেরে গিয়েছিলেন, তাঁর পাশাপাশি টুইঙ্কল খন্নার সঙ্গেও সমান তালে সম্পর্ক রেখেছিলেন অক্ষয়। তারপর অক্ষয়ের থেকে সরে আসেন তিনি।
২০০৭ সালে শিল্পা এইডস নিয়ে একটি সচেতনতা মূলক প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন। আমেরিকার অভিনেতা রিচার্ড গেরেও তাতে হাজির ছিলেন। মঞ্চে উঠেই সবাইকে অবাক করে শিল্পাকে জড়িয়ে ধরে ক্রমাগত চুমু খেতে শুরু করেন তিনি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শিল্পা এবং রিচার্ডের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। রাজস্থান কোর্ট তাঁদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে যদিও সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেয়।
আন্তর্জাতিক রিয়্যালিটি শো ‘বিগ ব্রাদার’-এ সুযোগ পাওয়া একমাত্র ভারতীয় তারকা হিসাবে চর্চায় এসেছিলেন শিল্পা। সেটা ২০০২ সাল। সেই প্রতিযোগিতায় বিজেতাও হন তিনি।
কিন্তু প্রতিযোগিতা চলাকালীন মারাত্মক বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। তখনও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল তাঁর নাম।
২০০৬ সালে রিমা সেন এবং শিল্পা দু’জনের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল মাদুরাই কোর্ট। তাঁদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ফটোশ্যুট করার অভিযোগ ছিল।
পরবর্তীকালে শিল্পাদের পক্ষেই আদালত রায় দেয়। শিল্পাদের যুক্তি ছিল, নাভি প্রদর্শন যদি অপরাধ হয়, অশ্লীল হয়, তাহলে ভারতের ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়ি আগে নিষিদ্ধ করা হোক।