পরীমণির খালা (মাসি)
ও পার বাংলার সীমান্ত পেরিয়ে পরীমণি-বিতর্ক এখন এ পার বাংলাতেও চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রথম সারির নায়িকা মাদক মামলায় এই মুহূর্তে হেফাজতে। তাঁর সম্পর্কে অজস্র কথা চারদিকে। এর আগে তাঁর শতবর্ষী দাদু তাঁকে সমর্থন করে কথা বলেছিলেন। এ বারে পরীমণির মাসি বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন।
মাসির কথায়, ‘‘খুব ছোট বয়সে ওর মা-বাবা মারা যায়। তার পর থেকে আমি ওর লালন-পালন করেছি। সম্পর্কে ওর খালা হলেও আমাকে মা বলেই ডাকে। স্মৃতি (পরীমণির আসল নাম, শামসুন্নাহার স্মৃতি) আমারই মেয়ে। আর আমি আমার মেয়েকে চিনি না নাকি! ও কিছু করেনি আমি জানি।’’
পরীমণির মাসি জানালেন, ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন পরীমণি। পিরোজপুরের গ্রামে তাঁর শিক্ষকরাও নাকি পরীমণিকে নিয়ে খুব চিন্তিত। জানা গেল, তাঁরা বলছেন, ‘‘আমাদের স্মৃতি এতটা পাল্টে যেতে পারে না। ওকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’ মাসির দাবি, নায়িকার সম্পর্কে যা যা বলা হচ্ছে, সব মিথ্যে। তাঁর বিশ্বাস, পরীমণি গ্রামের মেয়ে বলে রাজনৈতিক ঘোরপ্যাঁচ বুঝতে পারেননি। পরীমণির মাসির কথায় জানা গেল, তাঁর শত্রুর অভাব নেই।
পরীমণি
এই মুহূর্তে পরীমণির দাদু ঢাকায় নাতনির আবাসনে রয়েছেন। ভাড়া নেওয়া আবাসনে পরিচারিকার সঙ্গে থাকেন পরীমণি। কোনও অনুষ্ঠান থাকলে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে খালা, দাদু সকলে ঢাকায় চলে যান। মাঝে মাঝে পরীমণিও গ্রামের বাড়িতে গিয়ে থাকেন।
পরীমণির মাসি বললেন, ‘‘আমাদের পরিবারে সবাই শিক্ষক-শিক্ষিকা। টাকা পয়সার অভাব নেই। তাই আমরা জানি, আমাদের স্মৃতি টাকাপয়সার জন্য এ সমস্ত কিছুই করবে না কোনও দিন।’’
পরীমণির মায়ের মৃত্যু নিয়েও নানা কথা রটছে চারদিকে। মাসি বললেন, ‘‘আমার বোন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। এখন লোকে নানা কিছু বানাচ্ছে, সে সব মিথ্যে।’’