হাজিরা দিতে এসে পরীমণি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁর বাড়ির সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে।
সোমবার ছিল ঘনিষ্ঠ পরিচালকের জন্মদিনের পার্টি। বুধবার আবার আদালত। বাংলাদেশের নায়িকা পরীমণির বর্তমান পরিস্থিতি এমনই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জামিনে মুক্ত নায়িকার আজ ছিল আদালতে হাজিরা। বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী বেলা পৌনে ১১টায় আদালতে পৌঁছে যান পরীমণি।
বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, হাজিরা দিতে এসে পরীমণি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালানোর সময় তাঁর বাড়ির সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে। এমনকি প্রেসক্রিপশন-সহ তাঁর ওষুধের বাক্সটিও নিয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যে অবশ্য পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী পরীমণির গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপ, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেরত পাওয়ার জন্য সক্রিয় হয়েছেন।
এদিকে বুধবার ছিল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন। কিন্তু কিছুই হল না। তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপোর্ট জমা দেননি। ঢাকা মহানগর হাকিম এ বিষয়ে নতুন দিন ধার্য করেন ১০ অক্টোবর।
পরীমণির পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক থামছেই না। অনেকে যেমন বিচারের আগেই পরীমণিকে অপরাধী বলছেন, অনেকে আবার মনে করছেন প্রভাবশালী কারও নির্দেশে পরীমণিকে হেনস্থা করা হচ্ছে। অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট ব্যাখ্যা চেয়েছিল নিম্ন আদালত কেন পরীমণিকে জামিন না দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠাল? নিম্ন আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন, ‘এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল’।
এদিকে বুধবারও হাতে বার্তা লিখে এনে পরীমণি আবার বিতর্ক তুলেছেন। কী লেখা তাঁর হাতে? ভালবাসা, না ক্রুদ্ধ গালাগালি?