চুম্বনের ভিডিয়োর প্রসঙ্গ তুলে পরীমণিকে আক্রমণ
‘আবার হাসিখুশি পরীমণি, চমকদার সাজে যোগ দিলেন পরিচালকের জন্মদিনে’— এই শিরোনামে মঙ্গলবার একটি খবর প্রকাশ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। ফেসবুকে সেই খবরের তলায় স্বয়ং পরিমণিই ‘ভালবাসা’ জানিয়েছেন। ফেসবুকে তাঁর প্রোফাইলে কোনও পোস্টের তলায় মন্তব্য করার অনুমতি নেই বলে পরীমণিকে ঘিরে ধরেছেন নেটাগরিকরা। তাঁর সেই মন্তব্যের তলায় আক্রমণ, কটাক্ষ, কুমন্তব্যের ভিড় জমেছে। তাঁর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন কিছু মানুষ।
খবরে জানানো হয়েছিল, সে দেশের জনপ্রিয় পরিচালক রাশিদ পলাশের জন্মদিনের ঘরোয়া উদ্যাপনে উপস্থিত ছিলেন পরীমণি। সোমবারের সেই অনুষ্ঠানের একটি ছবি মঙ্গলবার পোস্ট করেছিলেন তিনি। বেগনি রঙের মসলিন শাড়ির সঙ্গে মানানসই লম্বা হাতার ব্লাউজ, ঘাড়ের কাছে হাতখোঁপায় বেল ফুলের মালা জড়ানো ছিল। কানের ফুল, হাতের চুড়ি, লিপস্টিক, আইশ্যাডোয় সেজেছিলেন পরীমণি। সেই ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘সাজে স্বতন্ত্র হতে চান? নিজেকে সাহসী দেখাতে বেছে নিন পার্পল।’
নেটাগরিকদের মন্তব্য
বাংলাদেশের মাদক আইনে গ্রেফতারির ২৬ দিন পর জামিনে মুক্তি পান পরীমণি। তা ছাড়া তার কিছু দিন আগে বাংলাদেশের কয়েক জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা করেছিলেন তিনি। মাদক মামলায় তাঁর নাম উঠে আসার পরে তাঁর সঙ্গে ঢাকার গুলশন বিভাগের এডিসি মহম্মদ গোলাম শাকলায়েনের সম্পর্ক নিয়েও কাটাছেঁড়া হয়। তারই জেরে শাকলায়েনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে সে সময়ে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, শাকলায়েনের জন্মদিনের পার্টিতে তাঁকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন পরীমণি। তার পরে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুম্বন করছেন তাঁরা।
নেটাগরিকরা সেই প্রসঙ্গ তুলে এনে আক্রমণ করলেন পরীমণিকে। রাশিদ পলাশের জন্মদিনে গিয়েছেন শুনে তাঁদের দাবি, ফের ওই রকম কোনও ভিডিয়ো পাওয়া যাবে পার্টির পর। কেক খাওয়ানোর কথা তুলে আপত্তিকর ইঙ্গিতও করলেন তাঁরা। কারও আবার অভিযোগ, পরীমণি তাঁর অনুরাগীদের দূরে রাখার জন্যই নিজের ফেসবুক পেজে মন্তব্য করার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, পরীমণি যেন মন্তব্য করার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ান।