বাংলাদেশের ঘটনা প্রসঙ্গে কী বললেন পরীমণি? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
কোটা সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত পরিণত হল রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক পালাবদলে। মঙ্গলবার সরকারি নির্দেশিকা জারি করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে স্থায়ী ভাবে মুক্তি দেওয়া হল। পাশাপাশি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সংসদও ভেঙে দিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সেই শুরু থেকেই ছিলেন ঢালিউড তারকা পরীমণি। আনন্দবাজার অনলাইন ফোনে যোগাযোগ করে পরীমণির সঙ্গে। তাঁর মন অশান্ত। বললেন, “বাড়িতে ছেলেমেয়েকে নিয়ে বসে আছি। রাস্তায় একটাও লোক নেই। কী হবে জানি না। দমবন্ধ হয়ে আসছে।” পরীমণি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ছাত্র-জনতার এক দফা দাবি পূরণ হওয়ার পর বিক্ষুদ্ধেরা যেন সংযত হন। তিনি ছাত্রদের সেই মতো আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে পরীমণি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শান্তি চাই! লুটপাট, থানা আক্রমণ, প্রতিহিংসা চাই না!’ নিজের দেশের রক্তপাত দেখতে দেখতে শুধু মন নয়, শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর। “ভাবুন, বাড়ির বারান্দায় পর্যন্ত দাঁড়াতে পারছি না! এ ভাবে থাকা যায়!” আফসোস তাঁর। তিনি বললেন, “আমরা সংযত হই, দায়িত্ববান হই। প্রিয় বাংলাদেশে আর রক্তপাত চাই না।”
গত বুধবার ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘‘শকুনের মতো চারপাশ থেকে কী ভাবে এক জন শিক্ষিকার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে! কত চুপ থাকা যায় আর। চিৎকার করে কান্না আসছে।’’ স্কুল, কলেজ কবে শুরু হবে জানা নেই তাঁর। বললেন, “হাতে বেশ কয়েকটা কাজ। কিন্তু ছবির কাজও বন্ধ। কত দিন এ ভাবে থাকব জানি না।”