স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত।
বছরের শেষ দিন বিতর্ক উস্কে স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন পরীমণি। তিনি জানান, ছেলেকে নিয়ে রাজের বাড়ি ছেড়ে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। গত বছর জানুয়ারি মাসেই ধুমধাম করে বিয়ে করেন রাজ-পরীমণি। তবে বছর ঘোরার আগেই মেয়াদ ফুরোল সেই বিয়ের। কিন্তু কেন ভাঙল তাঁদের বিয়ে, এই নিয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় নানা জল্পনা হয়েছে। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন পরীমণি।
১ তারিখ মধ্যরাতে পরীমণি রক্তের দাগ লাগা বিছানার ছবি দেন। কথা দিয়েছিলেন সাংবাদিক বৈঠক করে গোটাটা জানাবেন। কিন্তু মতবদল করেন অভিনেত্রী। সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের যাবতীয় ক্ষোভ, যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন তিনি।পরীমণি লেখেন, ‘‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি না চাইলে কোনও মেয়ে সন্তান নেওয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য, তখনই আমাকে পেয়ে বসা হল। যেন, শত কোটি বার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নিই, সেটাই এক সাংসারিক সূত্র হয়ে দাঁড়াল।’’ পরীমণি জানান, রাজের সঙ্গে সম্পর্কের সবটাই ছিল তাঁর একতরফা প্রচেষ্টা।পরীমণি তাঁর দীর্ঘ পোস্টে রাজের বিরুদ্ধে গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ এনে লিখেছেন, ‘‘বার বার গায়ে হাত তোলার পর্যায়ে পৌঁছলে কোনও সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়।’’
দিনের পর দিন ছেলের, রাজের দিকে তাকিয়ে সব ভুলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেটা তাঁর সন্তানের ক্ষতি করছে বলেই জানান পরীমণির কথায়, ‘‘একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে ও বড় হতে পারত না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম।’’
মাস দুয়েক আগে শরিফুল রাজের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনেছিলেন বাংলাদেশের চর্চিত অভিনেত্রী পরীমণি। তাঁর দাবি ছিল, সহ-অভিনেত্রী বিদ্যা সিন্হা সাহা মিমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন রাজ। যদিও পরে অবশ্য গোটাটাই মিটমাট হয়ে যায়। ফের পুরনো ছন্দে দেখা যায় রাজ-পরীমণিকে। কিন্তু আচমকাই সম্পর্কে ছন্দপতনে বিচ্ছেদের পথে তাঁদের দাম্পত্য।