প্রতি বছরের মতো এ বারও মনের মতো করেই জন্মদিন উদ্যাপনে মেতেছেন পরীমণি।
বছরে এই একটা দিন নিয়ম-নিষেধ সব মাফ। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন বাস্তবের পরি। দিনটি তাঁর জন্মদিন, ২৪ অক্টোবর। এ বছর ওলটপালট হয়ে গিয়েছে জীবন। তবু ফিকে হয়নি জন্মদিনের আলো আলো রং। প্রতি বছরের মতো এ বারও মনের মতো করেই উদ্যাপনে মেতেছেন পরীমণি।
রবিবারের সন্ধেয় বিমান হয়ে সেজে উঠেছিল বাংলাদেশের পাঁচ তারা হোটেল। লাল-সাদা থিম মেনেই নায়িকা নিজেও লাল টপ, সাদা স্কার্টে ঝলমল। ‘লুঙ্গি ডান্স’-এর সঙ্গে উত্তাল নাচে মাতোয়ারা পরীমণি। সঙ্গী পর্দার নায়ক শরিফুল রাজ। সেই উল্লাস ভিডিয়ো আকারে নিমেষে ছড়িয়েছে ফেসবুক, ইউটিউবে। উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরাও।
রবিবার সারা দিনই খোশমেজাজে বাংলাদেশের প্রথম সারির নায়িকা। সন্ধে থেকে উদযাপন প্রায় উৎসবের আকার নিল। হল ঘরে বসানো নকল আধখানা বিমানের সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলেন ‘পরি’। মস্ত লাল-সাদা কেক কেটে শুরু। এক পাশে তাঁর শতবর্ষী দাদু শামসুল হক গাজী। অন্য পাশে এক দল কচিমুখ। সামনে ক্যামেরা নিয়ে তৈরি সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরা। পরীমণি সকলকে নিজের হাতে কেক খাইয়েছেন, মাখিয়েছেনও। তার পরেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তাঁর অতি ‘আপনজন’-এর সঙ্গে।
কে ‘প্রীতিলতা’র সেই আপনজন?
তিনি পরীমণির ‘আপু’। রান্না করেন অভিনেত্রীর বাড়িতে। নায়িকার কথায়, ‘‘এই মানুষটির সঙ্গে আমার কোনও পারিবারিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু একমাত্র এই মানুষটিই আমায় সবচেয়ে ভাল বোঝেন। মন খারাপ হলে, অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি কী খাব, সেটা আপু ছাড়া আর কেউ বোঝেন না।’’
বলতে বলতে ‘আপন জন’কে আদর করে জড়িয়ে ধরেছেন পরীমণি। তাঁকেও সাজিয়েছিলেন গাঢ় লাল সালোয়ার-কামিজ, দোপাট্টায়। ততক্ষণে অনুষ্ঠানে হাজির ‘গুনিন’ ছবির গোটা দল। ছিলেন পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী, রাশিদ পলাশ।
গত অগস্ট, সেপ্টেম্বর কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। শারীরিক নিগ্রহ, ধর্ষণ-খুনের হুমকি, মাদক মামলায় গ্রেফতার, কারাগারে দিনযাপন এবং শেষে জামিনে মুক্তি। এই বিশেষ দিনের আনন্দের মধ্যে দিয়েই যেন দু’মাসের যন্ত্রণা ভুলতে চেয়েছেন পরীমণি। জন্মদিনে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন খুব ঘনিষ্ঠদের। এমনকি, আমন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের সামনেও এ দিন কোনও কথা বলেননি তিনি।