পরীমণি।
বিতর্ক পিছু ছাড়ে না পরীমণিকে। বুধবার সকালে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) অভিযান চালিয়েছিল অভিনেত্রীর বাড়িতে। তাঁর বাড়িতে পরিমাণে মদ রয়েছে, এমন খবর পেয়েছিল তারা। পরীমণির বাড়িতে অভিযান চালাতেই লাইভে এসে নিজের আতঙ্কের কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সাধারণ মানুষ এবং প্রশাসনের কাছ থেকেও সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আখেরে কোনও লাভ হল না।
পরীমণির বাড়িতে প্রায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তল্লাসি চালানোর পর সন্ধেবেলায় তাঁকে বাড়ি থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে প্রায় ৩০টি বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও এলএসডি নেশা করার জন্য ব্লটিং কাগজ এবং কিছু পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে তারা। শুধু পরীমণিকেই নয়, অভিনেত্রীর সঙ্গে আটক করা হয়েছে তাঁর গাড়ির চালক এবং বাড়ির এক কর্মীকেও।
কিছুদিন আগে এক ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ এবং তাঁর বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী। ১৩ জুন নেটমাধ্যমে পরীমণি জানিয়েছিলেন, তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টাও হয়েছে। সেই পোস্টই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়েছিলেন পরীমণি। ১৫ জুন পরীমণি নেটমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। সেই মামলা এখনও চলছে। তারই মধ্যে এ বার মাদক-যোগে ফের বিতর্কের শিরোনামে পরীমণি।