এই সব কমেডিয়ান স্ক্রিনে যখনই আসেন, হাসতে হাসতে আমাদের পেটে খিল ধরে যাওয়ার উপক্রম হয়, এঁদের পারফরম্যান্স নিয়ে সত্যিই কিছু বলার থাকে না। কিন্তু জানেন কি, লোককে হাসানোর মতো এই কঠিন কাজটা করার জন্য তাঁদের অনুপ্রেরণা কী? যাঁরা আমাদের এত আনন্দ দেন. ব্যক্তিগত জীবনে তাঁরা কেমন রয়েছেন, সেই খবর কি আমরা রাখি?
জনি লিভারের পারফরম্যান্স-এর আমরা প্রত্যেকেই ভক্ত। স্ক্রিন চালু হলেই নিজের ব্যক্তিত্বকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলার অনুপ্রেরণা তিনি পান স্ত্রী সুজাতার কাছ থেকে। ১৯৮৪ সালে সুজাতাকে বিয়ে করেন তিনি। জনি লিভার মনে করেন, বলিউডে এতদিন টিকে থাকার পিছনে সুজাতার প্রার্থনা রয়েছে। তাঁদের দুই সন্তান, ছেলে জেসি এবং মেয়ে জেমি।.
হাঙ্গামা, কাল হো না হো, মুঝসে শাদি করোগে, মালামাল উইকলি এই সমস্ত ছবি করেই জনপ্রিয় হয়েছেন রাজপাল। জীবনে দুবার প্রেম এসেছে তাঁর। দুবার বিয়েও করেছেন। প্রথমে তিনি করুণা নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন। কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। ২০০৩ সালে কানাডার বাসিন্দা রাধা নামে এক মহিলাকে তিনি বিয়ে করেন। দ্বিতীয় পক্ষেরও হানি নামে একটি মেয়ে রয়েছে।
২০১৮ সালে বলিউড তার অন্যতম অভিনেতা, কমেডিয়ান, ভিলেন, স্ক্রিপ্টরাইটারকে হারিয়েছে। অনেকেই জানেন না, আফগানিস্তানের কাবুলে জন্ম কাদের খানের। অভিনয়ে আসার আগে তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। আজরা নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। তাঁদের তিন সন্তান। শেষ জীবনে কাদের খান কানাডাতেই কাটান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
কমেডিয়ান মেহমুদ বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কমেডির এক অন্য দিক খুলে দিয়েছিলেন। স্ক্রিনের মতো তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও বর্ণময়। দুবার বিয়ে করেছেন তিনি। ১৯৫৩ সালে প্রথম বিয়ে। স্ত্রী ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধু। ১৯৬৭ সালে তাঁকে ডিভোর্স দেন মেহমুদ। পরে মার্কিন অভিনেত্রী ট্রেসিকে বিয়ে করেন। দুই স্ত্রী মিলিয়ে মোট সাত সন্তানের বাবা মেহমুদ। ২০০৪ সালে মৃত্যু হয় তাঁর।
স্ক্রিনে একটার পর একটা যে দারুণ অভিনয় আমাদের উপহার দেন সঞ্জয় মিশ্র, এর জন্য তাঁর অনুপ্রেরণা স্ত্রী কিরণ মিশ্র। তাঁর প্রথম বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর ২০০৯ সালে কিরণ মিশ্রকে বিয়ে করেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁরা দুজনে ভীষণ সুখী। তাঁদের পল এবং লমহা নামে দুই কন্যা রয়েছে।
বহু গুণে পারদর্শী জাভেদ জাফরি। তিনি অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার, ভিডিয়ো জকি এবং ফিল্মমেকারও। এরই সঙ্গে তিনি ভীষণ ভাল কমেডিয়ান। জাভেদের প্রথম স্ত্রী ছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী জেবা বখতিয়ার। তারপর তিনি হাবিবা নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন। হাবিবাকেই জাভেদ নিজের জীবনের অনুপ্রেরণা মনে করেন।
১৯৬৬ সালে থেকে কমেডি উপহার দিয়ে চলেছেন গোবরধন আসরানি। আজও তাঁর ফিল্ম দেখলে আমরা হেসে লুটিয়ে পড়ি। অভিনেত্রী মঞ্জু বনশলকে বিয়ে করেন তিনি।. তাঁদের একমাত্র সন্তান নবীন পেশায় একজন চিকিত্সক।
‘হম পাঁচ’ -এর সেই আনন্দ মাথুরকে মনে আছে? তাঁর আসল নাম অশোক সরফ. ‘সিংহম’ ছবিতে আবার হেড কনস্টেবল হয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী নিবেদিতা জোশিকে বিয়ে করেছেন তিনি। তাঁদের একমাত্র ছেলে অনিকেত একজন পেস্ট্রি শেফ।
বোম্বেতে ১৯৫৪ সালে জন্ম টিকু তলসানিয়ার। জনপ্রিয় থিয়েটার অভিনেত্রী এবং ক্ল্যাসিকাল নৃত্যশিল্পী দীপ্তিকে বিয়ে করেছেন তিনি। তাঁদের দুই সন্তান রোহন এবং শিখা। টিকু তাঁর স্ত্রীকে জীবনের সব কঠিন ক্ষেত্র পার করার অনুপ্রেরণা মনে করেন।
ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে স্ত্রী মধুর সঙ্গে প্রথম পরিচয়। ১৯৮২ সালে বিয়ে। তার পর থেকেই যেন ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে অভিনেতা এবং কমেডিয়ান সতীশ শাহের। বিয়ের পরই তিনি প্রচুর ফিল্মের অফার পেতে শুরু করেন।
আসল নাম উমা দেবী খত্রী। কিন্তু বলিউড তাঁকে টুনটুন নামেই চেনে। তিনিই বলিউডের প্রথম মহিলা কমেডিয়ান। ২০০৩ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তিনি দুবার বিয়ে করেন। প্রথম স্বামী আখতার আব্বাস কাজী এবং দ্বিতীয় স্বামীর নাম মোহন।
বোমান ইরানি ৪১ বছর বয়সে তিনি প্রথম ছবি করেন। কেরিয়ার শুরুর জন্য বয়স যে কোনও বাধা হতে পারে না তিনিই প্রমাণ করেন। ১৯৮৫ সালে জেনোবিয়া নামে এক মহিলাকে তিনি বিয়ে করেন। একটা বেকারিতে জেনোবিয়াকে প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ফেলেছিলেন তিনি। স্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই তাঁর অভিনয় শুরু।
পরেশ রাওয়ালের সামনে যে কোনও ধরনের অভিনয় দিন, তা সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তুলবেন তিনি। ১৯৮৭ সালে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া স্বরূপ সম্পতকে বিয়ে করেন তিনি।
অভিনেতা এবং জনপ্রিয় অভিনেতা মনোজ পহবা বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী সীমা ভার্গবকে। অভিনয়ে মনোজ স্ত্রী সীমাকেই তাঁকে অনুপ্রেরণা মনে করেন।
বিবি নম্বর ওয়ান, দুলহে রাজা, শোলা অউর শবনম-এর মতো হিট ফিল্মে অভিনয় করেছেন গুড্ডি মারুতি। অনেক হিট টিভি সিরিয়ালেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। অশোক নামে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে মুম্বইয়ের বান্দ্রাতে থাকেন। বিয়ের পর পুরোপুরি পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য তিনি অভিনয় থেকে বিরতি নেন।