Taylor Swift

এত দিন পপ তারকাকে আগলাতেন, এ বার হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে টেলর সুইফ্‌টের নিরাপত্তারক্ষী

‘দ্য এরাজ় ট্যুর’-এ পপ তারকা টেলর সুইফ্‌টের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন তিনি। এ বার ইজ়রায়েলের সুরক্ষার স্বার্থে বন্দুক হাতে তুলে নিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ২০:০৫
Share:

(বাঁ দিকে) টেলর সুইফ্‌ট। পপ তারকার নিরাপত্তারক্ষী। ছবি: সংগৃহীত।

গত প্রায় ১০ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে ইজ়রায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে। গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনার সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে জঙ্গি সংগঠন হামাস বাহিনীর। সেই যুদ্ধে প্যালেস্তাইন ও ইজ়রায়েল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৪০০০-এর বেশি মানুষের। পরোক্ষ ভাবে প্যালেস্তাইন-ইজ়রায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে গেলেন হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় পপ তারকা টেলর সুইফ্‌ট। হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের যুদ্ধে যোগ দিলেন চলতি বছরে টেলরের ‘দ্য এরাজ় ট্যুর’-এর এক নিরাপত্তারক্ষী। নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজের পরিচয় গোপন রেখেছেন ওই ব্যক্তি। খবর, নিজের দেশের উপর হামাসের প্রতিনিয়ত আক্রমণের ঘটনা দেখে আর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি তিনি। তার পরেই ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের উপর হামাসের প্রথম হামলার পরই আমেরিকা থেকে ইজ়রায়েলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি

Advertisement

‘দ্য এরাজ় ট্যুর’-এ পপ তারকা টেলর সুইফ্‌টের সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। ছবি: সংগৃহীত।

খবর, ইজ়রায়েলেই জন্ম ওই নিরাপত্তারক্ষীর। কাজের সূত্রে আমেরিকায় গিয়েছিলেন তিনি। আমেরিকাতেই নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি। ‘দ্য এরাজ় ট্যুর’-এ টেলরের সঙ্গে থেকেছেন সর্বক্ষণ। এক বিবৃতিতে তিনি লেখেন, ‘‘আমেরিকায় আমি সুন্দর একটা জীবন পেয়েছি। এমন একটা কাজ করতে পেরেছি, যা আমি করতে ভালবাসি। আমার পাশে এমন বন্ধুরা রয়েছেন, যাঁদের আমি পরিবার বলে মনে করি। আমার ইজ়রায়েলে ফেরার দরকার ছিল না... কিন্তু এই নিরীহ মানুষগুলোকে মরতে দেখে আমি আর থাকতে পারিনি। শুধু মাত্র ইহুদি হওয়ার জন্য ওদের যখন জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, তখন তা আমি আর দাঁড়িয়ে দেখতে পারি না।’’

নিজের বিবৃতিতে হামাস সংগঠনের নিন্দা করে ইজ়রায়েলের পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ওই নিরাপত্তারক্ষী। তিনি লেখেন, ‘‘এখানে এক পক্ষ শিশু এবং বয়স্কদের রক্ষা করছে, তাঁদেরই মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে অন্য পক্ষ! তাঁদের পশু বললে পশুদের অপমান করা হবে, তবে তাঁরা আর যা-ই হোন, মানুষ নন। তাঁরা গোটা পরিবারকে নির্বিচারে জবাই করছেন। পোষ্য প্রাণীদেরও ছাড়ছেন না। তার পরে তাঁরা ওই বাড়িগুলোকেও পুড়িয়ে দিয়েছেন! ভেবে দেখুন, এটা আপনার পাড়ায়, আপনার দেশে, আপনারই প্রতিবেশীদের সঙ্গে হলে কেমন লাগত!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement