পূজা ভট্ট, সোনি রাজদান, আলিয়া ভট্ট, মহেশ ভট্ট
প্রথম স্ত্রী কিরণ ভট্ট। দ্বিতীয় স্ত্রী সোনি রাজদান। কিন্তু মহেশ ভট্টের জীবনে প্রথম স্ত্রীর অস্তিত্ব থাকতে থাকতেই আর এক মহিলার আগমন হয়। মাঝের সেই সময়টি বেশ কঠিন ছিল ভট্ট পরিবারের জন্য। সে বিষয়ে তাঁরা সব সময়ই প্রকাশ্যে কথা বলেছেন।
মহেশের প্রথম পক্ষের মেয়ে পূজা ভট্টের ৪৯ তম জন্মদিনে মহেশ ও পূজার পুরনো ২টি সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হল সংবাদমাধ্যমে।
পূজার কাছে আলিয়া ও শাহিনের মা সোনি রাজদান ছিলেন তাঁর জীবনের খলনায়িকা। যিনি তাঁর বাবাকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এমন একটা সময় ছিল, যখন সোনির নাম শুনলেও রেগে উঠতেন পূজা। আলাদা ২টি সাক্ষাৎকারে সে সময়কার একটি ঘটনা উল্লেখ করেছিলেন পূজা ও মহেশ।
একদিন রাত দেড়টা নাগাদ পূজার ঘুম ভাঙিয়েছিলেন মহেশ। জানিয়েছিলেন, ‘‘আমি অন্য এক মহিলার প্রেমে পড়েছি। আমি চাই, সকলের আগে তুমি জেনে রাখো।’’ পূজা কেবল মাথা নাড়িয়েছিলেন। আর কিছু বলেননি। সেই মুহূর্তে তাঁর বাবা সেই মাথা নাড়ানোর অর্থ বুঝতে পারেননি। কিন্তু তার পর ধীরে ধীরে মেয়ের রাগ প্রকাশ পেতে থাকে। সাক্ষাৎকারে মহেশ বলেছিলেন, ‘‘আমি চেয়েছিলাম, সে তার রাগ ও ক্ষোভ, যা যা হচ্ছে, তা যেন মন থেকে বের করে ফেলে। চেপে থাকলে সেটা খারাপ হত।’’
পূজার কথায়, ‘‘ধীরে ধীরে আমি বুঝতে পারি, বাবার কোনও দোষ নেই। মায়ের সঙ্গে বাবার মিলছিল না। তাঁদের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই উচিত। কিন্তু আজ তাঁরা দু'জনেই খুব ভাল বন্ধু। বাবা নিয়মিত আমাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করেন। এমনকি আর্থিক সাহায্যও করেন।’’ সোনি রাজদান প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাগ পড়তে থাকে। 'হাই হ্যালো' থেকে অল্প অল্প কথাবার্তা শুরু হয়।’’
পূজা আজও একটি বিষয়ে গর্বিত, মহেশ ভট্ট তাঁদের কাছ থেকে কখনও কিছু লুকোননি। সততার সঙ্গে শুরুতেই সব বলে দিয়েছিলেন।