গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।
টলিপাড়ায় জোর খবর, ক্যামেরা চালু হলেই নাকি একের পর এক চমক দেখা যাবে মেগা কাহিনিতে। ‘শ্রীময়ী’, ‘ইরাবতী’, ‘কোরা পাখি’, ‘মোহর’, ‘প্রথমা কাদম্বিনী’, ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’— সমস্ত ধারাবাহিক বদলাবে নতুন ছাঁচে।
কী সেই বদল? স্টার জলসা চ্যানেলের কথাই ধরা যাক।
ত্রাণে ঝাঁপাচ্ছে ‘শ্রীময়ী’
ছেলে ডিঙ্কা তার মাকে নিয়ে ফিরছে নতুন পর্বে। সোশ্যালের প্রোমো বলছে, আর্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছতে দেখা যাবে শ্রীময়ীকে। সম্ভবত এই গল্পের সূত্রে ধরেই শুরু হবে দৃশ্যায়ন। আনন্দবাজার ডিজিটালকে চিত্রনাট্যকার-পরিচালক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শ্রীময়ী-রোহিত সেনের প্রেমও থাকবে মেগা জুড়ে। এবং সেখানে স্পর্শপ্রেমের কোনও প্রশ্ন নেই। শ্রীময়ী কোনও দিনই স্পর্শপ্রেমে বিশ্বাসী নয়। ফলে, দূর থেকেই সে রোমান্স করবে রোহিতের সঙ্গে। আর যেহেতু ছোট পর্দার প্রতিটি শো সপরিবার দেখার জন্য, তাই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য এমনিতেই থাকে না।
সম্পর্কে নয়া সমীকরণ ‘মোহর’
আড়াই মাস পরে কতটা পরিবর্তিত মোহর-শঙ্খর সম্পর্ক? তাদের জীবনে নাকি শ্রেষ্ঠা ম্যাম আবার ফিরে আসছেন। তাঁর উপস্থিতি কি ফের বদলাবে সম্পর্কের সমীকরণ! ধারাবাহিক‘মোহর’-এরগল্পের নতুন মোচড় এটাই।
আরুশির নতুন বন্ধু ‘ইরাবতীর চুপকথা’-য়
হারিয়ে যাওয়া মেয়ে আরুশিকে ইরাবতী ফিরে পেয়েছেন মাস কয়েক আগেই। আরুশির জীবনে আসছে নতুন বন্ধু। কে সে? পরিবারে সেই গল্প বলবে ‘ইরাবতীর চুপকথা’। ইরা বারবার মেয়ের পাশে দর্শকদের থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। থাকবে ‘শেষের কবিতা’ বাড়ির অন্দরে ঘটে যাওয়া আরও ঘটনা। নামভূমিকায় থাকা মনামী ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘সপরিবার ফিরছি শুটিংয়ে। দেখা হবে ১৫ জুন থেকে। প্রোমোতে জানিয়েওছি সেকথা। আপাতত এর বেশি কিছু জানানোর সুযোগ নেই।’’
বিয়ে হচ্ছে‘কোরা পাখি’র অঙ্কুর-আমনের
বদল আসতে চলেছে ‘কোরা পাখি’র দুই পাখি অঙ্কুর-আমনকে ঘিরেও। সবার অমতে বিয়েটা সেরেই ফেলছে তারা। যাবতীয় হ্যাপার মুখোমুখি পড়তে হবে এবার আমনকেই। কলকাতায় পা রেখেই তাকে সামলাতে হবে শ্বশুরবাড়ি, কাজ। বিয়ের খবর শুনে অবশ্য আকাশ থেকে পড়লেন ‘আমন’ পার্নো মিত্র। বললেন, ‘‘এসব কিছুই জানি না! এখনও কল টাইম পাইনি। ফলে, কী করে বলি কী দিয়ে গল্প শুরু হচ্ছে, আমন আর অঙ্কুরের বিয়ে হচ্ছে কিনা? এসব বলতে পারবেন একমাত্র লীনাদি। তবে এটুকু বলতে পারি, এই ভ্যাপসা গরমে বিয়ে হওয়াটা ভীষণ বাজে ব্যাপার। বিশেষ করে চড়া আর্কলাইটের সামনে বিয়ের মেকআপ, গয়না, শাড়ি পরে শুট করা।’’
স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিনের গপ্পো ‘প্রথমা কাদম্বিনী’-তে
ডাক্তার হওয়ার অনুপ্রেরণা কার থেকে পেয়েছিলেন কলকাতার প্রথম, দেশের দ্বিতীয় মহিলা ডাক্তার কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়? তাঁর জীবনের ধ্রুবতারা কে? স্বামী দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় কীভাবে জড়িয়ে পড়লেন নারী মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে? ১৫ জুন থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ধীরে ধীরে মিলবে এই মেগায়।
মানুষের ত্রাণ ‘মহাপীঠ, তারাপীঠ’-এ
এই কাজে ব্রতী হওয়ার নির্দেশ দিলেন তারা মা। তাঁর একান্ত অনুগত সাধক বামাক্ষ্যাপাকে। বড় মায়ের নির্দেশ কী করে ফেলতে পারেন বামা? নিজের ভাল-মন্দ ভুলে আগামী পর্বগুলিতে তাঁকে দেখা যাবে আর্তের পাশে। মানুষকে সমস্ত বিপদ, দুঃখ থেকে উদ্ধার করতেই যে তাঁর মর্তে আগমন! কীভাবে প্রাকৃতির দুর্যোগ, নানা ক্ষয়ক্ষতি থেকে আগলাবেন ভক্তদের? দেখা যাবে পৌরাণিক মেগা ‘মহাপীঠ, তারাপীঠ’-এ।
সতীন কাঁটা ‘কপালকুণ্ডলা’য়
কাপালিক ঠাকুরকে আর ভয় করে না কপালকুণ্ডলা। পথিক সঙ্গে থাকলে ভয় কী? কিন্তু সতীন পদ্মাদিদির নয়া চাল তাকে সরিয়ে নেবে না তো নবকুমারের থেকে! কারণ, পদ্মা তার রূপ দিয়ে নবকুমারের মন ভোলাতে সারাক্ষণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এদিকে নবকুমারের আক্ষেপ, কপাল কেন বোঝে না সে তাকে কত ভালবাসে! পারিবারিক টানাপড়েন আর কাপালিকের তন্ত্রমন্ত্র নিয়ে জমাটি পর্ব দিয়ে শুরু হতে চলেছে রাজ চক্রবর্তী প্রযোজিত ‘কপালকুন্ডলা’।
বদলাচ্ছে আরও স্টার জলসার আরও দু’টি জনপ্রিয় মেগা, ‘কে আপন কে পর’ এবং ‘চুনি পান্না’।
কাল, বুধবার থেকে শুটিং শুরু হবে টেকিনিশিয়ান স্টুডিয়োতে। একই ভাবে দর্শকমহলে জনপ্রিয় সান বাংলার ‘জিয়নকাঠি’ ধারাবাহিক। কী বদল দেখা যাবে এতে? খবর, টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োর ফ্লোরে ঋষি-জাহ্নবী মুখোমুখি হচ্ছে জীবনের নয়া মোড়ে। সৎ কিন্তু কঠোর মনের সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মী ঋষি আর গোধূলির আলোর মতোই স্নিগ্ধ, নরম, শান্ত জাহ্নবী বর্তমানের কঠিন পরিস্থিতিতেও কীভাবে কর্তব্যে অবিচল থাকবে, সেটাই দেখানো হবে আগামী পর্বে।
শুটিংয়ের অনুমতি মিললেও এখনই ফ্লোরে নামছে না ‘নিশির ডাক’ বা ‘মঙ্গলচণ্ডী’র মতো দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিকগুলি। কালার্স বাংলা চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এখন এই দুই ধারাবাহিকের জায়গায় সম্প্রচারিত হবে ডাবড, পুরনো মেগা।
তবে ‘ফিরকি’, ‘আলো ছায়া’, ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’, ‘ত্রিনয়নী’ সমেত সমস্ত মেগা-ই ফ্লোরে নামবে না কিছু নামবে, নির্দিষ্ট ভাবে তাএখনও জানাননি জি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।