—প্রতীকী চিত্র।
“চোখের সামনে পরিবারকে শেষ হয়ে যেতে দেখেছি।" সেই ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি আজও টাটকা বলি অভিনেতা কমল সদানার কাছে। মাদকাসক্ত বাবা ব্রিজ সদানা একে একে হত্যা করেন মা আর বোনকে। রেহাই পাননি অভিনেতা নিজেও। তবে বেঁচে গিয়েছেন কোনও মতে। “আমাকেও গুলি করা হয়েছিল। ঘাড়ের এক পাশে গুলি লেগে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে আসে। আমার বেঁচে থাকার কথা ছিল না। আশ্চর্যজনক ভাবে বেঁচে গিয়েছি আমি”, সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন অভিনেতা। অভিনেতার বাবা নিজেও আত্মঘাতী হন।
অভিনেতা কমল সদানা। ছবি: সংগৃহীত।
তবে ঘাড়ে গুলি লাগার পরেও দমে যাননি তিনি। রক্তাক্ত মা আর বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে তৎপর হয়েছিলেন। এ সবের মধ্যে পুলিশ তাঁকে জানায়, তিনি নিজেও আহত, চিকিৎসার প্রয়োজন। অস্ত্রোপচারের পরে চোখ খুলে দেখেন, তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর কথায়, “সে দিন আমার জন্মদিন ছিল। চোখের সামনে পরিবারের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি।”
কিন্তু এই ভয়াবহ ঘটনার পরে এখনও সেই বাড়িতেই থাকেন অভিনেতা। নেপথ্য কারণ কী? “পৃথিবীতে একমাত্র আমার জীবনেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, এমন নয়। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের দুঃখজনক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। মনের মধ্যে ঘৃণা নিয়ে বসে থাকলে জীবন সেখানেই আটকে থাকবে।” জন্মদিনে পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছেন। আর পাঁচ জনের মতো তাঁর কাছেও জন্মদিনের গুরুত্ব কি এক? অভিনেতার স্পষ্ট উত্তর, “স্বাভাবিক নিয়মে ফিরতে বহু বছর সময় লেগেছে। আগে জন্মদিন পালন করতাম না। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে উদ্যাপনে শামিল হই।
‘বেখুদি’, ‘বালি উমার কো সালাম’, 'অঙ্গারা’ ছবির হাত ধরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কমল। সম্প্রতি ‘পিপ্পা’ ছবিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।