Prosenjit Chatterjee

Daktar Kaku: বিক্রি হয়েছে চিকিৎসা ব্যবসাও! প্রতিবাদে পাভেল, শুভশ্রী, ঋদ্ধি, ‘ডাক্তার কাকু’ প্রসেনজিৎ

পাড়ায় পাড়ায় সত্যিই আর ‘ডাক্তার কাকু’দের দেখা যায় না। এখন কোনও চিকিৎসক শয্যাশায়ীকে বাড়িতে দেখতে আসেন না। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘অগ্নীশ্বর’কে কি তাই আবার ফিরে দেখলেন পাভেল?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৫১
Share:

উত্তর নিয়ে আসছে ‘ডাক্তার কাকু’

আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে ধীরে ধীরে প্যান্ডোরার বাক্স খুললেন পরিচালক পাভেল। প্রকাশ্যে তাঁর বহু প্রতীক্ষিত ‘ডাক্তার কাকু’ ছবির বিষয়, লুক, অভিনেতাদের নাম! সমাজের এই জ্বলন্ত সমস্যাকে তাঁর নতুন ছবিতে তুলে ধরতে চলেছেন পরিচালক। সাহিত্যিক বনফুলের অমর সৃষ্টি, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় দেখা ‘চিকিৎসক অগ্নীশ্বর মুখোপাধ্যায়’রা কোথায় গেলেন? এখনকার চিকিৎসকদের কাছে তাঁদের পেশা মানবসেবা না ব্যবসা?

পাড়ায় পাড়ায় সত্যিই এখন আর ‘ডাক্তারকাকু’দের দেখা যায় না। এখনকার কোনও চিকিৎসক শয্যাশায়ী রোগীকে বাড়িতে দেখতে আসেন না। ১৯৭৫-এ তৈরি অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের 'অগ্নীশ্বর'কে তাই আবার নতুন ভাবে ফিরে দেখলেন পাভেল? পরিচালকের সপাট জবাব, ‘‘সবাই তো এখন বিক্রির খাতায়। চিকিৎসা পরিষেবাও। মানবসেবা মুছে সেখানেও ব্যবসার ছায়া। পাড়ার ডাক্তার কাকুদের আমরাই হেলায় হারিয়েছি। কী ছিল, কী গেল আর কী কী আগলে রাখতে হবে-- একুশ শতককে জানতে হবে তো!’’ পাভেলের মতে, ‘অগ্নিশ্বর’কে কখনও ভোলা যায় না। অথচ, বাংলা ছবিতে তাঁকে আর দেখাও যায় না! দুই প্রজন্মের চিকিৎসাধারায় সেতু বাঁধার পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবার যাবতীয় সমস্যার উত্তর নিয়ে আসছে ‘ডাক্তারকাকু’।

Advertisement

পুশকিন-শীতলরূপী ঋদ্ধি সেন-এনা সাহা

ছবির যাবতীয় প্রশ্ন ঘুরবে তিনটি চরিত্রকে কেন্দ্র করে। ‘ডাক্তারকাকু’ ওরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর দুই ছেলে ‘পুশকিন’ ওরফে ঋদ্ধি সেন এবং ‘পচা’ ওরফে পাভেল স্বয়ং! এবং এই ছবিতে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় প্রসেনজিতের বিপরীতে। কী ভাবে? ক্রমশ প্রকাশ্য। প্রযোজনায় এনা সাহার জারেক এন্টারটেনমেন্ট। প্রযোজনার পাশাপাশি এনাকে দেখা যাবে ঋদ্ধির বিপরীতে। এ ছাড়াও আছেন রজতাভ দত্ত, তুলিকা বসু।

ছবির নাম ঘোষণার পর থেকেই ডাক্তারকাকু বা পর্দার ‘দিলীপ সাহা’কে নিয়ে ভয়ানক কৌতূহল সবার। ছবির মোশন লোগোতে দেখা গিয়েছে, তাঁর সারা ক্ষণের সঙ্গী তিনটি জিনিস। স্টেথোস্কোপ, স্কুটার আর কাগজের প্লেন। কেন? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পরিচালকের সঙ্গে। তাঁর দাবি, এক জন চিকিৎসকের কাছে স্টেথোস্কোপ থাকবেই। ডাক্তার কাকু পাড়া চষে ফেলেন তাঁর স্কুটারে চেপে। দ্রুত রোগীর কাছে পৌঁছোতে এই একটি বাহন সহায় তাঁর। তৃতীয় সঙ্গী অর্থাৎ কাগজের প্লেন একা ডাক্তার কাকু নয়, পুশকিন এবং পচার জীবনেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর রহস্য এখনই ভাঙা যাবে না।

Advertisement

ছবিতে প্রসেনজিৎ আগের প্রজন্মের চিকিৎসক। যিনি ডাক্তারি পাশ করার সময় নেওয়া মানবসেবার শপথ অক্ষরে অক্ষরে মানেন। রোগী দেখতে শুরু করলে নাওয়া-খাওয়ার হুঁশ থাকে না তাঁর। পাড়া এবং আশপাশে চিকিৎসক দিলীপ সাহা তাই ঈশ্বর। আপনভোলা স্বামীকে সামলান স্ত্রী পারমিতা। এই চরিত্রেই অভিনয় করেছেন শুভশ্রী।

হঠাৎই সুখের সংসারে ঝড়। সাময়িক অসুস্থতায় পারমিতার আকস্মিক মৃত্যু প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় ডাক্তারকাকুকে। কারণ, তিনি সেই সময় প্রতিবেশীর অসুস্থ স্ত্রীর সেবায় ব্যস্ত। মায়ের মৃত্যুর জন্য ছেলের বিতৃষ্ণার কারণ দিলীপ। কর্তব্যের খাতিরে মা-হারা পচা, মাম্পিরও দায়িত্ব নেন তিনি। অবশেষে ডাক্তার কাকুর দুই সন্তান চিকিৎসাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেয়। তারা এ যুগের। স্বাভাবিক ভাবেই তাদের কাছে নানা প্রলোভনের হাতছানি। পুশকিন, পচাও সেই প্রলোভন এড়াতে পারে না। এ দিকে, দুই ছেলেকে লোভের হাত থেকে বাঁচাতে ডাক্তারকাকুর আপ্রাণ চেষ্টা। শেষ পর্যন্ত তিনি কি সফল হবেন? বাকিটা জানতে হবে বড় পর্দায়। ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ শ্যুট শেষ। কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি দু’দিনের জন্য শ্যুট হয়েছে পুরুলিয়ায়। একাধিক গান থাকবে। সুরের দায়িত্বে রণজয় ভট্টাচার্য, অমিত ঈশান, অর্ণব দত্ত, সৌপ্তিক সায়ন্তন।

‘পচা’ ওরফে পাভেল এবং ‘পুশকিন’ ওরফে ঋদ্ধি সেন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement