টানা ৩ মাস একটুও ভাল ছিলেন না পরিণীতি চোপড়া।
টানা ৩ মাস একটুও ভাল ছিলেন না পরিণীতি চোপড়া। ২০২১-এর জুন মাসে নেটমাধ্যমে সে কথা ফাঁস করলেন অভিনেত্রী। তাঁর আরও দাবি, ‘ওই মাসগুলো যেন ঘোরের মধ্যে ছিলাম। অদ্ভুত দমবন্ধকর পরিস্থিতি। বাস্তব আর অবাস্তবের মাঝখানে অবস্থান ছিল আমার’। তিনি যে পরাবাস্তব দুনিয়ায় ছিলেন, এমনটাও জানাতে ভোলেননি। কী কারণে এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি? এর জন্য পরিণীতি সরাসরি দায়ী করেছেন পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর পরিচালিত ছবি ‘সন্দীপ ঔর পিঙ্কি ফরার’-কেও। যে ছবিতে তিনি ‘সন্দীপ’ ওরফে ‘স্যান্ডি’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
কী ছিল ছবির বিষয়? চিত্রনাট্য বলছে, কী ভাবে পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে আজকের প্রজন্ম, সেই দিকটাই তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। যেখানে প্রশাসনের তাড়া খেয়ে ক্রমাগত পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে সন্দীপ আর ‘পিঙ্কি’ ওরফে অর্জুন কপূরকে। ছবিটি ইতিমধ্যেই দর্শক এবং সমালোচক প্রশংসিত। অভিনীত চরিত্র ‘সন্দীপ’ নিয়ে বলতে গিয়েই আগে বলা কথাগুলো বলেছেন পরিণীতি। কারণ? তাঁর যুক্তি, বরাবর তিনি হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছ্বল মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দর্শকেরাও তাই ভাবেন, বাস্তবেও অভিনেত্রী বোধ হয় এই রকমই। তাঁর জীবনেও যে কষ্ট আসতে পারে, পর্দায় তিনিও যে সমস্যায় জর্জরিত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন, এ কথা কেউ ভাবতেই পারেন না। দর্শকদের সামনে নতুন পরিণীতিকে তুলে ধরতে গিয়ে যে ফলাফল এত মারাত্মক হবে, ভাবেননি তিনি। শ্যুটিংয়ের ৩ মাস তাই একাকার ‘স্যান্ডি’ আর পরিণীতি। অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘বিশাল ধকল গিয়েছে আমার মনের উপর দিয়ে।’’
নতুন পরিণীতিকে দর্শক একই ভাবে মেনে নিতেই ঘোর কেটেছে অভিনেত্রীর। তৃপ্ত পরিণীতি জানিয়েছেন, এত দিন ধরে দর্শক প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষাতেই ছিলেন। তাঁর মতে, ‘‘মনে হচ্ছে, যেন সদ্য ঘুম ভেঙে উঠলাম। নতুন চরিত্রে অভিনয় করে ভীষণ ঝরঝরে লাগছে। পরীক্ষায় ভাল ফল করার আনন্দ উপভোগ করছি।’’ এর জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর ‘দিবাকর স্যর’কে।