স্বামী রাঘবকে নিয়ে কোন আক্ষেপ পরিণীতির? ছবি: সংগৃহীত।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সময়ে বিয়ে হয় রাঘব চড্ডা ও পরিণীতি চোপড়ার। গত জুলাই মাসেই ছড়িয়েছিল বিভ্রান্তি। তবে কি এ বার ঘর ভাঙতে চলেছে পরিণীতি চোপড়ারও? প্রশ্ন উঠেছিল তাঁরই সমাজমাধ্যমের পোস্ট দেখে। অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহেই তার উত্তর পেয়ে যান অনুরাগীরা। ৭ অগস্ট, সমাজমাধ্যমে পরিণীতি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে এই মুহূর্তে দূরত্ব রয়েছে স্বামীর। বিবাহবার্ষিকীর উদ্যাপন একসঙ্গে, তার পর ফের আালাদা। তাই বিবাহবর্ষিকীর পোস্টে আক্ষেপ ঝরে পড়ল নায়িকার কণ্ঠে।
এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে রয়েছেন পরিণীতি। মাঝে একটা লম্বা সময় কাটিয়েছেন লন্ডনে। রাঘব ছিলেন ভারতে। সংসদে বাদল অধিবেশন চলছিল। আপ সাংসদ রাঘব ব্যস্ত সেখানেই। এর মাঝেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বদল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জেল থেকে মুক্তি, আরও একাধিক ঘটনা। সেই সময়ে রাঘব ছিলেন দিল্লিতে। এর মাঝেই হরিয়ানার ভোট প্রচারও চালাচ্ছেন। বোঝা যাচ্ছে স্ত্রীকে বিশেষ একটা সময় দিয়ে উঠতে পারছেন না রাঘব। যদিও তার মাঝেই স্ত্রীকে নিয়ে কয়েকটা দিন একান্তে মলদ্বীপে কাটিয়ে এসেছেন। সমুদ্রসৈকতে দু’জনের একান্ত যাপনের সেই ছবিও দিয়েছেন রাঘব-পরিণীতি।
কিন্তু স্বামীর সঙ্গে ঘন ঘন দেখা না হওয়ায় ও আরও আগে কেন দেখা হল না সেই কারণে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী। বিয়ের প্রথম বর্ষপূর্তিতে পরিণীতি লেখেন, ‘‘আমি জানি না আগের জীবনে এবং এই জীবনে কী কী ভাল কাজ করেছি যে তোমাকে পেয়েছি। খাঁটি ভদ্রলোক, আমার বোকা বন্ধু, সংবেদনশীল মানুষ, একজন সমঝদার স্বামীকে বিয়ে করেছি। সোজাসাপটা সৎ মানুষ, শ্রেষ্ঠ পুত্র, জামাই। দেশের প্রতি তোমার নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি তোমাকে বড্ড ভালবাসি। কেন আরও আগে দেখা হল না? শুভ বিবাহবার্ষিকী।’’ রাঘব অবশ্য পরিণীতিকে মিষ্টি ডাক ‘পারু’ নামেই শুভেচ্ছা জানালেন।