কলকাতায় পরমব্রত।
প্রেম নিয়ে টুঁ শব্দ উচ্চারণ করেন না! তা বলে অনুভূতিটাকেও এড়াতে পারলেন না পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
এই প্রথম দিলখোলা তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে কিছুটা যেন আগল ভেঙেই বললেন, ‘‘মুম্বইয়ে ছিলাম। কলকাতায় রবিবার ফিরলেও চলত। তবু সরস্বতী পুজো, বাংলার প্রেমদিবসকে এড়াতে পারলাম না। তার টানেই রাতের বিমান ধরে আমার শহরে। ক্লান্ত, তবু স্বস্তি পেলাম কলকাতায় ফিরে।’’ ঘুমে দু’চোখের পাতা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছে। সেটাও হয়নি। প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার মতে, তাঁকে জাগিয়ে রেখেছে শীত-বসন্তের মিষ্টি-মধুর সহবাস! সব ক্লান্তি ভুলে তাই নিজের বাড়িতে বাগদেবীর আরাধনায় মেতেছেন। সাদা চোস্ত পাজামা, পাঞ্জাবি, বাসন্তী জ্যাকেটে সেজেছেন। এসভিএফ-সহ একাধিক প্রযোজনা সংস্থার পুজোতেও উপস্থিত থেকেছেন। পাশাপাশি, শুভ দিনে মুক্তি পেয়েছে তাঁর আগামী ছবি ‘ডা. বক্সি’র ঝলক। পরমব্রতর কণ্ঠস্বরে তাই যেন চুঁইয়ে পড়েছে তৃপ্তি।
ছবির ঝলকও সরস্বতী পুজোর মানানসই। মন্ত্রোচ্চারণের মতোই নিখুঁত উচ্চারণে সংস্কৃতে আওড়েছেন গীতার শ্লোক। বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, অপরাধী এবং অপরাধের বিনাশ সাধনই তাঁর লক্ষ্য। ছবিতে সাদা ফ্রেমের চশমায় চিকিৎসকের ভূমিকায় তিনি। বিপরীতে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি লেখিকা। উপন্যাস লেখার জন্য একটি নামী হোটেলে থাকতে গিয়ে জড়িয়ে পড়েন খুনের অভিযোগে। সেই রহস্য ভেদ করতে আসেন ডা. বক্সি ওরফে পরমব্রত। প্রকৃত খুনিকে খুঁজতে গিয়ে তাঁর চোখে পড়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার আড়ালে ঘটতে থাকা একাধিক অপরাধ।
ইদানীং রহস্য-রোমাঞ্চ আর পরমব্রত যেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। একের পর এক এই বিশেষ ধারার ছবিতেই বলিউড-টলিউডে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। অভিনেতা নিজেও স্বীকার করেছেন সে কথা। বিশুদ্ধ প্রেমের ছবি বা ভিন্ন ধারার চরিত্রে কবে দেখা দেবেন? পরমব্রত জানিয়েছেন, খুব শিগগিরিই প্রেমের ছবি, অন্য স্বাদের চরিত্রে ফিরতে চলেছেন তিনি।
সরস্বতী পুজো ঘিরে সবার জীবনেই মিষ্টি স্মৃতির আনাগোনা। স্কুলের শেষ ধাপ বা কলেজ বেলায় প্রেমে পড়েছেন অনেকেই। পরমব্রতর জীবনেও এমন কোনও স্মৃতি আছে? প্রশ্ন শুনেই সংযমের খোলসে ঢুকে পড়েছেন অভিনেতা। প্রেমদিবসে আকাশে-বাতাসে যতই প্রেম ছড়ানো থাক, ফেলে আসা দিনে তিনি নাকি মদন বাণে বিদ্ধ হননি কখনওই!