লতাকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন উদ্ধব-পত্নী।
লতা মঙ্গেশকরের অবস্থার অবনতি হতেই তাঁকে দেখতে মুম্বইয়ের হাসপাতালে গেলেন বোন আশা ভোঁসলে। হাসপাতালে ঢোকার মুখে আশা বলেন, ‘‘দিদির শারীরিক অবস্থার যাতে উন্নতি হয়, তার জন্য আপনারা প্রার্থনা করুন।’’
শুধু আশাই নন, গায়িকাকে দেখতে পৌঁছলেন উদ্ধব ঠাকরের স্ত্রী রেশমী ঠাকরে । শনিবার সকালে ৯২ বছরের গায়িকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই তাঁকে ফের ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। যদিও চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন লতা। বিভিন্ন থেরাপি চলছে তাঁর।
প্রাক্তন শিবসেনার প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল লতার। প্রকাশ্যে একাধিক বার বালাসাহেবের প্রশংসা শোনা গিয়েছে লতার কণ্ঠে। পরবর্তীকালে বালাসাহেবের ছেলে উদ্ধব ঠাকরে ক্ষমকায় আসার পরেও সেই সুসম্পর্ক বজায় ছিল লতার। এখন নবতিপর সঙ্কটকালে পাশে দেখা গেল উদ্ধব-পরিবারকে। এঁরা ছাড়াও লতার বোন আশা ভোঁসলে, পরিচালক মধুর ভান্ডারকর, সু্প্রিয়া সুলে পৌঁছে গিয়েছেন হাসপাতালে।
হাসপাতালে লতাকে দেখতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী চান, লতা তাড়াতাড়ি সুস্থ উঠুন।’’
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরে গত মাসের ১১ তারিখ মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় লতাকে। নিউমোনিয়া ধরা পড়ে ৯২ বছরের গায়িকার। শনিবার মুম্বইয়ের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক পরিস্থিতির আবার অবনতি হয়েছে’। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া বিবৃতিতে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতীত সমদানি বলেন, ‘‘গায়িকার শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আইসিইউ-তেই রয়েছেন। তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।’’