RG Kar Protest

ধর্নামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিকে সাধুবাদ, এই পদক্ষেপ আগে করা যেত না? প্রশ্নে পরমব্রত

মুখ্যমন্ত্রী শনিবার আচমকাই উপস্থিত স্বাস্থ্য ভবনের সামনে, জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে। এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুললেন পরমব্রত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৩
Share:

(বাঁ দিকে) পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।

শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে। সাধারণ মানুষ থেকে রাজ্য রাজনীতি— সর্বত্র এর প্রভাব পড়েছে। দুই পক্ষের কথোপকথন সমাজমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে ভাইরাল। সাংসদ-অভিনেতা দেব ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। রবিবার, একই ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানালেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি কিছু প্রশ্নও রেখেছেন। তাঁর প্রথম প্রশ্ন, “এই পদক্ষেপ আর একটু আগে করা যেত না? তা হলে এই মানবিক মুখ রাজ্যবাসী আরও আগে দেখতে পেতেন।”

Advertisement

প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতাও সমাজমাধ্যমেই নিজের বক্তব্য রেখেছেন। তিনি লিখেছেন, “দেশের অন্য কোনও রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে শাসকের এ রকম ভঙ্গি দেখা গিয়েছে বলে আমার স্মৃতিতে বা জ্ঞাতসারে নেই | খুব কম প্রশাসনই এতটা সময় ধরে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলন চলতে থাকা বরদাস্ত করে!” এই প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন উত্তর ভারতের কৃষক আন্দোলনের। শাসকদের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোয় রাষ্ট্রশক্তি সেই আন্দোলন থামিয়ে দিয়েছিল।

পাশাপাশি, তিনি প্রশংসা করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকদেরও। যাঁরা অত্যন্ত বিনীত ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পরমব্রত লিখেছেন, “অত্যন্ত ভদ্র ভাবে, কোনও রকম শালীনতা বা ভব্যতার সীমা না অতিক্রম করেও যে দৃঢ় ভাবে নিজেদের দাবির কথা বলা যায়, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ হয়ে থাকবে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতীক্ষা!” তাঁর মতে, সম্মাননীয় ব্যক্তিত্বকে সম্মান জানিয়েও নিজেদের সম্মান ও সুরক্ষার জন্যে নিজেদের লড়াই, দাবিগুলির উপর বিশ্বাস ধরে রাখা পরিণতমনস্কতার পরিচয়। তার পরেও তিনি কিছু প্রশ্ন রেখেছেন। জানতে চেয়েছেন, রাজনীতির রঙে না রাঙিয়ে আরও আগে এই আশ্বাসবাণী দেওয়া যেত না? পরমব্রতের মনে হয়েছে, শাসকের এই মানবিক মুখ আরও আগে দেখলে, ন্যায়বিচারের আশ্বাস আরও আগে পেলে হয়তো জুনিয়র চিকিৎসকেরা নিজে থেকেই কাজে যোগ দিতেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর প্রশ্ন, “অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা যে পরিষেবা পাচ্ছেন না, তার দায় তা হলে কার? চিকিৎসকদের একার?” পাশাপাশি, সরাসরি সম্প্রচারের বদলে বৈঠকের ভিডিয়ো রেকর্ডিং-এর পক্ষে তিনিও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement