Moon Moon Sen Husband Death

যত্ন করে সামলে রাখতেন সবটা, বাবা চলে যাওয়ায় রাইমার জীবনে একটা শূন্যতা তৈরি হল

রাইমা সেনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব। সেই সূত্রেই বেশ কাছে থেকেই দেখার সুযোগ মিলেছে অভিনেত্রী আর তার বাবাকে। কেমন ছিল বাবা-মেয়ের সমীকরণ জানালেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১
Share:

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় যেমন দেখেছিলেন রাইমার বাবাকে। গ্রাফিক : আনন্দবাজার অনলাইন।

রাইমা-রিয়ার বাবা চলে গেলেন। দীর্ঘ দিনের অসুস্থতা তো ছিলই। খবরটা শুনে প্রথমেই রাইমার মুখ ভেসে উঠল। আসলে রাইমার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অনেক দিনের। রাইমা তো বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকত। ওদের নিয়েই রাইমার সব কিছু। অনেকেই জানে না বা রাইমাও সে ভাবে বলে না, রাইমা কিন্তু কাজ ছাড়া বাড়িতে থাকতেই পছন্দ করে। ও খুব ঘরোয়া। আর ওর সঙ্গে ওর বাবার একটা সুন্দর সমীকরণ ছিল। ভরত দেববর্মা রাজপরিবারের ছেলে। মানুষটা ভারী আমুদে ছিলেন। লোককে আনন্দ দিতে, খাওয়াতে ভালবাসতেন। তবে বাইরে কোথাও নয়, বাড়িতেই সব হইহই। আমি ওদের বাড়িতে গিয়ে দেখেছি, সকলে পছন্দের মতো খাবার খাচ্ছে, আনন্দ করছে। উনি কিন্তু একটু দূর থেকে বসে সেটা দেখছেন। আয়োজনের তো কোনও ত্রুটি ছিল না।সকলে মিলে যে আনন্দ করছে সেটা দেখার মধ্যেই যেন ওঁর একটা ভাল লাগা ছিল।

Advertisement

রাইমার বাবা কিন্তু খুব গোছানো মানুষ ছিলেন। একটা পরিবারের যেমন হয় সম্পত্তি বা জরুরি কাগজপত্র, কোথায় কী আছে, তার সবটাই খুব যত্ন করে আজীবন সামলেছেন। রেখেও গেলেন। এ সব রাইমার কাছ থেকেই শোনা। রাইমাকেও ওর বাবাই সামলেছেন। যদিও রাইমার জীবনে সঙ্গে মুনদির (মুনমুন সেন) নামটা বার বার উঠে আসে। হয়তো সেটাই স্বাভাবিক, কারণ নামটার একটা ভার তো রয়েছে। কিন্তু ওদের জীবনে ভরত দেববর্মার বড় একটা ভূমিকা ছিল। বিশেষ করে রাইমার জীবনে, সেটা বলতেই হবে। রাইমা যতটা মুনদির মেয়ে ততটাই ওর বাবার মেয়ে। বাবার সঙ্গ রাইমা বরাবর উপভোগ করত। বাবা চলে যাওয়ায় রাইমার জীবনে একটা শূন্যতা তৈরি হল, এটা ভাবতে ভাল লাগছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement