পাকিস্তানি অভিনেতা মহসিন আব্বাস হায়দার। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে সরকারি হাসপাতালের অন্দর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক পড়ুয়া-চিকিৎসকের মৃতদেহ। দিন দশেক আগে। অভিযোগ, নিজের হাসপাতালেই তাঁকে ধর্ষণ আর খুন করা হয়। কলকাতা ছাড়িয়ে রাজ্য, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ, দেশের বাইরে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। দোষীদের শাস্তির দাবি তো উঠছেই, পাশাপাশি উঠছে নারীদের নিরাপত্তা প্রশ্ন।
এই পরিস্থিতিতে, সারা বিশ্বের সমস্ত নারীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তানের অভিনেতা, গায়ক ও গীতিকার মহসিন আব্বাস হায়দার। সে দেশের বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে আব্বাসের সমাজমাধ্যম লেখার প্রতিচ্ছবি। আব্বাস লিখেছেন, “আমি এই পৃথিবীর সমস্ত নারীর কাছে ক্ষমা চাইছি।” আরজি কর-কাণ্ডে বিচারও চেয়েছেন। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেছেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, তিনি নির্যাতিতার নাম ও ছবি ব্যবহার করেছেন। আইনত এই কাজ ভারতে অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়।
আরও দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, আব্বাসের নিজের বিরুদ্ধেই রয়েছে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ। ২০১৯ সালে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ফতেমা সোহেলের ক্ষতবিক্ষত ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। ফতেমা নিজে দাবি করেছিলেন তিনি আব্বাসের হাতে নির্যাতিত। শুধু তাই নয়, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি আবিষ্কার করেছিলেন স্বামী তাঁকে ঠকাচ্ছে। ২০২০ সালে গ্রেফতার করা হয় গায়ক-অভিনেতাকে।
এই ঘটনার কথা মনে রেখেছেন নেটাগরিকরা। আব্বাসের পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করেছেন, “আপনি তো নিজের স্ত্রীর উপরই অত্যাচার করেছেন। নিজের স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চান আগে।” আবার কেউ বলেছেন, “ভারত-পাকিস্তানের মহিলারা আগামী তিনশো বছর এই ধরনের অত্যাচার সহ্য করবেন কারণ, দোষীদের কোনও শাস্তি হয় না এখানে।”