বিচারব্যবস্থায় অনাস্থা অনুপম রায়ের। গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।
ভয় পাচ্ছেন অনুপম রায়। কারণ, তিনি আস্থা হারিয়েছেন বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে। তেমনই বক্তব্য তাঁর সমাজমাধ্যমে। সেখানে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাঁর আফসোস, ছাত্রমৃত্যুর এক বছর পার। তার পরেও দোষী চিহ্নিত হয়নি। এই সূত্র ধরে তিনি জানতে চেয়েছেন, “আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক চলে যাওয়ার ১০ দিন হতে চলল। প্রচুর বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু বিচার? আদৌ পাওয়া যাবে কি?”
আনন্দবাজার অনলাইন গীতিকার-সুরকার-শিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “নীরব মোদী দোষী সকলে জানেন। তার পরেও তিনি বিদেশে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাঁকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। এমনকি, দেশেও ফেরত আনা যাচ্ছে না তাঁকে!” এখান থেকেই তাঁর পাল্টা জিজ্ঞাসা, এর পরেও কী করে তিনি বিচার ব্যবস্থার উপরে ভরসা রাখবেন? এ-ও বলেন, “আজকে নারীর সঙ্গে নির্যাতনও কিন্তু রাজনৈতিক ফয়দা লোটার জন্য ব্যবহার করা হয়।”
কেন এমন মনে হচ্ছে তাঁর? এই প্রশ্নে গায়কের উদাহরণ, “প্রজ্বল রেভান্নাকে দেখুন। কর্নাটকে তাঁর বিরুদ্ধে নাকি নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। সকলেই এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকলেও তিনি নির্বাচনে যে-ই দাঁড়ালেন তখনই সে সব অন্যায় প্রকাশ্যে এল!” এই ঘটনার কথা বলে অনুপমের জিজ্ঞাসা, “এত বছর গেল, সে সব হেনস্থার কথা বাইরে এল না কেন? যখনই প্রজ্বল নির্বাচনে দাঁড়ালেন তখনই তাঁর অন্যায়ের খবর বাইরে এল?” এর থেকে অনুপম উপলব্ধি করতে পারছেন, বিরোধী পক্ষ হয়তো আগে থেকেই জানত। তারা সারা বছর খবরটি লুকিয়ে রেখে নির্বাচনের সময়ে ছড়িয়ে দিল, যাতে তিনি নির্বাচনেই দাঁড়াতে না পারেন। অনুপম জানালেন, তাঁর আসনটি এ ভাবেই বিরোধী পক্ষ কব্জা করেছিল। ২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচন। আরজি কর-কাণ্ডের নেপথ্যেও কি তা হলে রাজনীতি? গায়কের মতে, ইদানীং প্রত্যেকের স্মৃতিশক্তি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। দু’বছর আগের ঘটনা কারও মনে থাকে না।
তিনি আরও জানিয়েছে, এ রকম হাজারো অভিযোগ সকলের ঝুলিতে। যার কোনও নির্দিষ্ট জবাব নেই। তিনি এও মানেন, রাজনীতি সমাজ বদলাতে পারবে না। কিন্তু বিচার ব্যবস্থা সঠিক এবং কড়া হলে এই ধরনের অন্যায় করার আগে অপরাধী দু’বার ভাববে।