বরাবরই সমকামের প্রদর্শনে সাবলীল নির্মাতা ওনির
পর্দায় কিংবা পর্দার বাইরে, সমকামী সম্পর্ক দেখা গেলেই রে-রে করে ওঠে দেশ। এ দিকে অভিনেতা নিজেই যদি সমকামী হন? সে ক্ষেত্রে কী করনীয়? প্রশ্ন তুললেন ‘মাই ব্রাদার নিখিল’-এর পরিচালক ওনির। তাঁর মতে পর্দায় সমকামের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ুক। তবেই সেখানে সাবলীল অভিনয় করতে পারবেন সমকামীরা। তাঁদের দিয়ে বিষমকামী প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করানো ঠিক নয়।
একই ভাবে বিষমকামীরাও সমকামীদের চরিত্রে অস্বস্তি বোধ করছেন। পর্দায় দুই পুরুষের প্রেম ফুটিয়ে তোলা তাঁদের পক্ষে কঠিন। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ে অস্বস্তি বোধ করছেন। এমনকি, সংলাপেও প্রাণ থাকছে না।
তাই কলাকুশলী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া আশু কর্তব্য বলে মনে করছেন ‘আই অ্যাম’ পরিচালক।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে পর্দায় সমপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওনির বলেন, ‘‘বহু পুরুষ সমকামিতার দৃশ্যে অভিনয় করতে সমস্যায় পড়েন। আর এক জন পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া তাঁদের পক্ষে কঠিন হয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, পেশাদার জীবনে এক বার এমন চরিত্র করলে ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে একঘরে করে দেওয়ার প্রবণতাও দেখছি। এ দিকে, ধর্ষকের চরিত্রে অভিনয় করতে বললে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু পর্দায় আর একজন পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের প্রচুর ছুঁৎমার্গ!’’
ওনির আরও বলেন, বিষমকামীরা সমকামীদের আবেগ, অনুভূতি ফুটিয়ে তুলতে পারেন না। রসায়নের খামতিটা ধরা পড়ে যায়। তাঁর মতে, সমকামী চরিত্র আরও কম দেখা যায়, কারণ অভিনেতারাই স্বচ্ছন্দ নন।
বর্তমানে ওনিরের নতুন ছবি 'পাইন কোন'-এর কাজ চলছে। যাতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে ঘোষিত সমকামী অভিনেতা বিদুর শেট্টিকে। বরাবরের মতো চরিত্রচিত্রণে এ বারও যত্নবান পরিচালক অনির। বাকিদেরও কি সেই বার্তাই দিতে চাইলেন?