(বাঁ দিকে) ‘আদিপুরুষ’ ছবিতে প্রভাস। রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’-এ লক্ষ্মণের চরিত্রে সুনীল লহরী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
প্রভাস ও কৃতি শ্যাননের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘আদিপুরুষ’। একাধিক বিতর্ক, বাধা ও বিপত্তি পেরিয়ে গত ১৬ জুন অবশেষে মুক্তি পেয়েছে ওম রাউত পরিচালিত এই ছবি। ছবির প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়ার পর থেকে একাধিক বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে এই ছবি। মুক্তি পর ‘আদিপুরুষ’-এর নিত্যসঙ্গী সমালোচনা ও নিন্দা। হিন্দু মহাকাব্য ‘রামায়ণ’-এর সিনেম্যাটিক সংস্করণ বলে কথা, ছবির জন্য মুখিয়ে ছিলেন দর্শক ও অনুরাগীরা। তবে ছবি দেখে হতাশ হয়েছেন তাঁদের একটা বড় অংশ। এর আগে রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’-এর রামের চরিত্রাভিনেতা অরুণ গোভিল সরব হয়েছিলেন ‘আদিপুরুষ’-এর বিরুদ্ধে। এ বার নিন্দকের তালিকায় শামিল লক্ষ্মণের চরিত্রাভিনেতা সুনীল লহরী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘আদিপুরুষ’ প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান অভিনেতা সুনীল বলেন, ‘‘কোনও দিক থেকেই আমার ছবিটা ভাল লাগেনি। শুধুমাত্র দুটো জিনিসই আমার ঠিকঠাক লেগেছে, আবহসঙ্গীত ও সিনেমাটোগ্রাফি।’’ ছবির ‘টার্গেট অডিয়েন্স’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন লক্ষ্মণের চরিত্রাভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি জানি না, বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা যাঁরা আধুনিকতার কথা বলেন... এটা কোনও দিক থেকে আধুনিক ছবি নয়। ট্যাটু দেখালেই কোনও ছবি আধুনিক হয়ে যায় নাকি? আমি জানি না ওঁরা ছবিটা আসলে কী বানাতে চেয়েছিলেন। আমার কত আশা ছিল ছবি নিয়ে।’’ ছবির দেখার আগে ‘আদিপুরুষ’ নিয়ে কোনও মতামত প্রকাশ করতে চাননি সুনীল। তবে অভিনেতার দাবি, ছবি দেখার পর নিজের দায়িত্ব থেকে তা নিয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি। ছবি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে অবশেষে সুনীল বলেন, ‘‘ছবির নির্মাতাদের লজ্জায় জলে ডুবে মরে যাওয়া উচিত।’’
‘আদিপুরুষ’-এর এত সমালোচনা ও নিন্দার মাঝে অবশ্য ছবির প্রশস্তিতে মন দিয়েছেন অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। সেই একই পথে হেঁটেছেন কৃতির মা গীতা শ্যাননও। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি পোস্ট শেয়ার করে গীতা লেখেন, ‘‘মানুষ যে নজরে দুনিয়াকে দেখেন, দুনিয়াটা ঠিক সে রকমই দেখতে লাগে। প্রভু রামই শিখিয়েছেন... কারও খুঁত না ধরে তাঁর ভাবনার সম্মান করতে জানতে হয়।’’ গীতার এই পোস্টে অবশ্য বিশেষ সন্তুষ্ট নন কৃতির অনুরাগীরা। নিজের মেয়ে অভিনয় করেছে বলেই কি সাফাই গাইছেন মা? প্রশ্ন তাঁদের।