নুসরত জাহান ও আবীর চট্টোপাধ্যায়।
ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় ‘ডিকশনারি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন নুসরত জাহান ও আবীর চট্টোপাধ্যায়। ছবিতে তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। সেই ছবির গল্পে দেখা যায় ‘স্মিতা সান্যাল’ অর্থাৎ নুসরতের চরিত্র পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। সেই ছবির প্রসঙ্গ টেনে এ বার তৈরি হল নতুন মিম। আবীরকেও নিয়ে আসা হল নুসরত-চর্চায়। ফের নুসরতের অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে শুরু হল কাঁটাছেড়া।
জনৈক নেটাগরিক আবীর চট্টোপাধ্যায় ও নুসরত জাহানের ‘ডিকশনারি' ছবির দৃশ্য নিয়ে তার ওপর আবীরের সংলাপ লিখেছেন, ‘বলুন কী ভাবে আপনার সাহায্য করতে পারি?’, প্রশ্নের উত্তরে নুসরতের সংলাপে লেখা হয়েছে, ‘আমার বাচ্চার আসল বাবাকে খুঁজে দেবেন ব্যোমকেশ বাবু?’ যেহেতু আবীর আগে ব্যোমকেশের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তাই নেটাগরিক তাঁর পোস্টে আবীরকে ব্যোমকেশ বলেই উল্লেখ করেছেন। এই পোস্ট নিয়ে নেটাগরিকদের একাংশ বলেছেন, বিয়ে বাড়ি গিয়েই হ্যাংলার মতো খেয়ে না নিয়ে আগে দেখা উচিত সেটা বিয়ে বাড়ি নাকি ‘লিভ টুগেদার পার্টি’। অনেকে আবার নুসরতের জীবনের সঙ্গে তুলনা করেছেন তাপসী পান্নুর নতুন ছবি ‘হসিন দিলরুবা’-র।
নুসরতকে নিয়ে মিম
তৈরি হয়েছে আরও একাধিক মিম। এক জন নেটাগরিক ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, নুসরতের বিয়ে সব ক্যান্সেল’। নেটমাধ্যমে আবার বিভিন্ন ব্যক্তি জনৈক নেটাগরিকের ভাইরাল পোস্টটিতে নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ বলছেন, ‘যশের কাছে হেরে গেলেন নিখিল’, আবার কেউ বলছেন, ‘বিয়েকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে দু’দিন পর লোকসভার শপথ অনুষ্ঠানে গেলেন, এ তো পার্লামেন্টেরও অপমান’। মন্তব্যকারীদের সিংহভাগ বলেছেন, পরীক্ষা বাতিল হলেও সব বিষয়ের ফল প্রকাশিত হবেই। কেউ আবার লিখেছেন, বিয়ে নয় বিচ্ছেদও বাতিল। কেউ আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন আমন্ত্রণ না পাওয়ার জন্য।
আবীরকেও নিয়ে আসা হল নুসরত-চর্চায়।
কিছু দিন আগে সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান এক বিবৃতির মাধ্যমে বলেছিলেন, ‘নিখিলের সঙ্গে আমি সহবাস করেছি। বিয়ে নয়। ফলে বিবাহ-বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না’। নুসরতের এই বক্তব্যের পর তাঁকে নিয়ে নানা রকমের মিমে ভরেছে নেটমাধ্যমের দেওয়াল।