নিখিল মাজোত্রার ইচ্ছে পূরণ হতে চলেছে
বাংলা গান গেয়ে যদি শ্বশুরবাড়ির মন জয় করতে পারেন তা হলে কলকাতার ঘর জামাই হবেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনিই বলেছিলেন এ কথা। কাশ্মীরি গায়ক নিখিল মাজোত্রার সেই ইচ্ছে পূরণ হতে চলেছে। কলকাতার বাঙালি প্রেমিকার জন্য তিনি ঘর ছেড়েছেন। বাংলা গান শিখে যোগ দিয়েছেন স্টার জলসার ‘সুপার সিঙ্গার ৩’-এর প্রতিযোগিতায়। জোরকদমে বাংলা ভাষাও শিখছেন একই সঙ্গে। নিখিলের সেই চেষ্টা বৃথা যায়নি। মন গলেছে প্রেমিকা সুস্মিতা বিশ্বাসের পরিবারেরও। জামাই হিসেবে মেনে নিয়েছেন কাশ্মীরি ছেলেকে। বিয়ের ভরা মরসুমে এ বার আশীর্বাদ আর প্রতীকী আংটি বদল। সেটাও হবে ‘সুপার সিঙ্গার ৩’-এর সেটেই! বিশেষ অনুষ্ঠান স্টার জলসার আগামী শনি-রবিবার রাত সাড়ে ন’টার বিশেষ পর্বে।
অনুষ্ঠানের ঝলকে নাচে-গানে-হুল্লোড়ে জমজমাট প্রতিযোগিতার মঞ্চ। চওড়া হাসি চার বিচারক কুমার শানু, সোনু নিগম, মোনালি ঠাকুর, কৌশিকী চক্রবর্তীর মুখে। মোনালি বলেই ফেলেছেন, ‘‘গানের প্রতিযোগিতার মঞ্চে এমন আয়োজন আগে কখনও দেখিনি। আমিও যথেষ্ট রোম্যান্টিক। তাই ভীষণ ভাবে উপভোগ করছি।’’ প্রত্যেক বিচারকের আশীর্বাদ নিয়ে প্রতীকী আংটি বদল হবু বর-কনের। বিশাল বড় এনগেজমেন্ট রিং হাতে! হিন্দু রীতি মেনে ধান-দুর্বো, উপহারে পাত্রকে আশীর্বাদ সেরেছেন মেয়ের পরিবার। বাকি প্রতিযোগীরা তখন হইহই করে একের পর এক গাইছেন ‘লাজে রাঙা হল’, ‘দাদা পায়ে পড়ি রে’, ‘মেহেন্দি লগা কে রাখ না’র মতো উদযাপনের গান।
এ ভাবে শ্বশুরবাড়ি, প্রেমিকা এবং শহর কলকাতার মন জিততে পারবেন, আদৌ ভেবেছিলেন? উচ্ছ্বসিত নিখিল অকপট আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে। বললেন, ‘‘এত বড় মঞ্চে জীবনের প্রথম শুভ কাজ অনুষ্ঠিত হবে ভাবতেই পারিনি। আমি কৃতজ্ঞ চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং ‘সুপার সিঙ্গার ৩’-র সকলের কাছে। ওঁরা আমায় অনুভব করতে পেরেছেন বলেই এত আয়োজন।’’ কী বলছে নিখিলের পরিবার? গায়কের কথায়, তাঁর মা আগেই জানতেন সুস্মিতার কথা। বাড়ির প্রত্যেকেরই পাত্রী খুব পছন্দের। সুস্মিতার মা বরং ভয় পাচ্ছিলেন, তাঁদের মেয়ে পঞ্জাবি পরিবারে কতটা মানিয়ে নিতে পারবে।
আশীর্বাদ, আংটি বদলের দিনে সঞ্চালক যিশু সেনগুপ্তর সৌজন্যে ভিডিয়ো কলে হাজির নিখিলের পরিবারও। মন্ত্রোচ্চারণ, প্রদীপের শিখার তাপ, উলুধ্বনির মধ্যেই সুরে-গানে বাঁধা পড়ল কাশ্মীর-কলকাতা।