দিগবিদিক ভুলে দৌড়েছিল মিঠাই ‘উচ্ছেবাবু’কে বাঁচাতে।
যে অতিথি নিবাসে রাতে থেকে গিয়েছিল সিদ্ধার্থ সেই বাড়ি আগুনের গ্রাসে। সংবাদমাধ্যম থেকে সেই খবর পেয়েই দিগবিদিক ভুলে দৌড়েছিল মিঠাই। ‘উচ্ছেবাবু’কে বাঁচাতে। আগুনে আটকে গিয়ে ততক্ষণে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছিল মোদক বাড়ির ছোট ছেলের। নিজের প্রাণের মায়া ছেড়ে স্বামীকে বাঁচিয়েছে সে।
তার পর থেকেই সিদ্ধার্থ ওরফে সিডও যেন একটু অন্য রকম। মিঠাইয়ের খেয়াল রাখছে। বিছানা ছেড়ে সংসারের কাজে ব্যস্ত হলে ধমক দিচ্ছে রীতিমতো। কেন চিকিৎসকের পরামর্শ না মেনে দৌড়ঝাঁপ করছে মিঠাই? এই প্রশ্নও তুলেছে। দাদাই-ঠাম্মিকে তার পরামর্শ, ভাল-মন্দ কিছু হলে মোদক পরিবারকেই মিঠাইয়ের মায়ের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে। নেটমাধ্যমে আগাম সম্প্রচারিত পর্বের ঝলক বলছে, খেয়াল রাখার পরেও নাকি বিয়ে ভাঙতে চলেছে সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের!
ফ্যান পেজ থেকে শেয়ার হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দাদাই স্বয়ং ডেকে পাঠিয়েছেন রেবতীকে। কাগজপত্র নিয়ে এসেছে কিনা, সে কথাও জিজ্ঞেস করেছেন। ‘কিসের কাগজ?’, পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছে সিড। তখনই সামনে এসেছে আসল তথ্য। দাদাই জানিয়েছেন, মিঠাই-সিদ্ধার্থের বিচ্ছেদের নোটিশ এনেছে রেবতী। দাদাইয়ের সম্মান রাখতে গ্রামের মিষ্টি বিক্রেতা মিঠাইকে বিয়ে করেছিল সিদ্ধার্থ। এই বিয়ে সে মন থেকে মানতে পারেনি কোনও দিন। তাই দাদাই ছোট নাতিকে মুক্তি দিতে চাইছেন।
কথা শুনে মুখ শুকনো মোদক বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের। থমকে গিয়েছে খোদ সিদ্ধার্থ। একটু একটু করে যখনই মন পালটাচ্ছিল তখনই বিচ্ছেদের সুর! আর মিঠাই? হতবাক হয়ে তাকিয়ে দেখেছে, সিদ্ধার্থ কাগজ টেনে নিয়ে কী অনায়াসে তাতে সই করে দিয়েছে!
দৃশ্য দেখে নেটাগরিকেরা যথারীতি প্রতিবাদে সরব। কেউ বলেছেন, ‘এটা কী হল? সিড সই করে দিল? যা করল ঠিক করল না!’ আরেক জনের মতে, ‘সিদ্ধার্থের কাছে মিঠাই প্রতি মুহূর্তে অপমানিত। তাই নাতিকে শিক্ষা দিতে আর মিঠাইয়ের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতেই এই পদক্ষেপ দাদাইয়ের। যা করছেন ঠিক করছেন। এ বার যদি সিডের বোধ-জ্ঞান ফেরে!’
সত্যিই সিদ্ধার্থ সরে যাবে মিঠাইয়ের পাশ থেকে? উত্তর দেবে বাংলার ‘সেরা ধারাবাহিক’ ‘মিঠাই’-এর আগামী পর্ব।