TV Serial

Tv Serial: তুষারপাতের মধ্যে দার্জিলিংয়ে কাঁপতে কাঁপতেই তারকারা শ্যুট করলেন ধারাবাহিক ‘গুড্ডি’র

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল স্টার জলসার এই ধারাবাহিকের গোটা দল। ছিলেন তিন মুখ্য তারকা শ্যামোপ্তি মুদলী ওরফে ‘গুড্ডি’, রণজয় বিষ্ণু ওরফে ‘অনুজ’ এবং মধুরিমা বসাক ওরফে ‘শিরিন’। সেখানেই সকলে মিলে উপুড় করে দিয়েছেন পাহাড়ি আউটডোরের অভিজ্ঞতার ঝুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৩০
Share:

প্রবল ঠান্ডায় শ্যুটের অভিজ্ঞতা শোনালেন শ্যামোপ্তি, রণজয় ও মধুরিমা

শ্যুট হওয়ার কথা ছিল কাশ্মীরে। নানা সমস্যায় তা বাতিল হয়ে লোকেশন দার্জিলিং। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে সেখানেই হাজির ‘গুড্ডি’র গোটা ইউনিট। কী হল তার পর?

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল স্টার জলসার এই ধারাবাহিকের গোটা দল। ছিলেন তিন মুখ্য তারকা শ্যামোপ্তি মুদলী ওরফে ‘গুড্ডি’, রণজয় বিষ্ণু ওরফে ‘অনুজ’ এবং মধুরিমা বসাক ওরফে ‘শিরিন’। ছিলেন ধারাবাহিকের প্রযোজক, লেখিকা-চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, প্রযোজনা সংস্থা ‘ম্যাজিক মোমেন্টস’-এর শীর্ষকর্তা শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরাও। সেখানেই সকলে মিলে উপুড় করেছেন পাহাড়ি আউটডোরের অভিজ্ঞতার ঝুলি।

Advertisement

ধারাবাহিক 'গুড্ডি'র প্রচার ঝলক

প্রবল শীত আর ঘন কুয়াশা, তুষারপাতে ঠান্ডায় জমে যাওয়ার জোগাড়। তার মধ্যেই সাধারণ সুতির সালোয়ার কামিজে এবড়োখেবড়ো পাহাড়ি পথে, পাথুরে ঢালে ছুটোছুটি করছে গুড্ডি! শৈবাল জানান, ধারাবাহিকের প্রচার ঝলকের জন্য সেই দৃশ্যে প্রাণবন্ত অভিনয় করে সকলেরই মন কেড়েছেন শ্যামোপ্তি। এতটাই যে, তাঁর পর্দার নায়ক রণজয় হাসতে হাসতেই বলছেন, “শ্যামোপ্তি কিন্তু এ বার ম্যারাথন দৌড়োতে পারবে। ওর বোধহয় ঠান্ডা লাগে না! এ দিকে, আমার তো শটের আগে পুলিশের পোশাকের উপরে চাপানো জ্যাকেটটা খুলতেই হাত-পা জমে যাওয়ার জোগাড়!”

অন্যদের চেয়ে ঠান্ডা কম লাগে, তা মেনেই নিয়েছেন শ্যামোপ্তি। তবে হাসতে হাসতেই তাঁর বক্তব্য, “তবে এত ঠান্ডায় গরম জামাকাপড় না পরে শট দিতে শীত করেনি, তা তো আর নয়! এবড়োখেবড়ো পাথরের উপর দিয়ে দৌড়োতে, প্রচণ্ড কুয়াশার মধ্যে গাড়িতে যাতায়াত করতে ভয়ও করেছে বেশ।”

বাকিদের চেয়ে পাঁচ-সাত দিন পরে দার্জিলিংয়ে পৌঁছেছিলেন মধুরিমা। তাঁর অভিজ্ঞতা কেমন? গল্পের ‘শিরিন’ বলছেন, “শীতের আবহাওয়া কেটে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু কী ভীষণ ঠান্ডা! শট শেষ হলেই আমরা সোয়েটার সোয়েটার করে চেঁচাচ্ছি! নাক দিয়ে জল গড়াচ্ছে! সে এক কাণ্ড বটে!”

প্রচার ঝলক বলছে, পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখে পাহাড়ি গ্রামের প্রাণোচ্ছল মেয়ে গুড্ডি। পাহাড়ে বদলি হয়ে আসা নতুন অফিসার অনুজ চট্টোপাধ্যায় তার আদর্শ। স্কুলশিক্ষিকা ‘শিরিন স্নেহ-ভালবাসায় আগলে রাখে মা-হারা গুড্ডিকে। এ দিকে, তার মনের মানুষ অনুজের সঙ্গে বিয়ের আশীর্বাদের দিনেই পরিস্থিতিচর চাপে পড়ে গুড্ডির সিঁথিতে সিঁদুর দিতে বাধ্য হয় অনুজ। এক দিকে, নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে স্বপ্নপূরণের লড়াই, অন্য দিকে সম্পর্কের জটিলতার আবর্তেই এগোবে ধারাবাহিকের কাহিনি।

কোথাও কি খানিকটা তুলনা চলে স্টার জলসার এবং লীনা-শৈবালেরই পুরনো ধারাবাহিক ‘কুসুমদোলা’র সঙ্গে? কারণ সেখানেও পরিস্থিতির চাপেই পাহাড়ি গ্রামের মেয়ে ইমনকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল পুলিশ অফিসার রণজয়। কলকাতায় তখন অপেক্ষায় প্রেমিকা রূপকথা। আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা তুলনা করবেন, করবেন। দুটো গল্প আলাদা। অন্য রকম পথে হেঁটে নতুন কিছু নিয়েই আসবে এই ধারাবাহিক।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement