১০ জানুয়ারি থেকে স্টার জলসায় দেখা যাবে ‘আলতা ফড়িং’।
দুই চ্যানেলে তাঁর দুটো ধারাবাহিক। জি বাংলায় ‘উমা’। ১০ জানুয়ারি থেকে স্টার জলসায় দেখা যাবে ‘আলতা ফড়িং’। দুই ধারাবাহিকেই কাহিনির পটভূমি খেলার দুনিয়া। ছোট পর্দায় বরাবর ঘরোয়া গল্পেই নজর কেড়েছেন প্রযোজক-পরিচালক সুশান্ত দাস। টানা চার বছর সম্প্রচারের পর শনিবার শেষ হয়েছে তাঁর তেমনই একটি ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। তবে হঠাৎ খেলার দুনিয়া নিয়ে একের পর এর ধারাবাহিক বানাচ্ছেন কেন? নেপথ্যে কি বিশেষ কোনও কারণ?
সদ্য নতুন ধারাবাহিকের ভার্চুয়াল প্রচারে এসেছিলেন সুশান্ত এবং তাঁর দল। সেখানেই তাঁর দাবি, সবাই অভিনয় দুনিয়ার স্বজনপোষণ নিয়ে সারাক্ষণ কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। এই বিরোধ যে সর্বত্র, এমনকি খেলার দুনিয়াতেও আছে, সে কথা এখনও তুলে ধরা বাকি। খেলার দুনিয়ার আরও অজানা দিকের গল্প বলাও বাকি। তাই ‘উমা’য় ক্রিকেটের পরে ‘আলতা ফড়িং’-এ উঠে আসবে জিমন্যাস্টিকের জগতের কাহিনি।
কেমন সেই স্বজনপোষণের নমুনা? সুশান্তের দাবি— ক্রিকেটে বহু ক্ষেত্রেই অর্থ যার, ব্যাট তার। জি বাংলার ধারাবাহিকের গল্পও সে পথে হাঁটছে। অন্যতম চরিত্র আলিয়া খেলার সুযোগ পায় তার মাথায় বড়সড় ছাতা রয়েছে বলে। উমার তা নেই। তাই প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও সে মাঠের বাইরে। জিমন্যাস্টিকের দুনিয়ার ছবিও এক। প্রযোজকের দাবি, সেখানেও ভাল খেলোয়াড়ের অস্তিত্ব মুছে যায় রাজনীতির শিকার হয়ে। ধারাবাহিকে প্রশিক্ষকের প্রেমে পড়ে, মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে ভুলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল ফড়িংয়ের মা। প্রশিক্ষক ততক্ষণে আড়ালে সরে গিয়েছেন। বাধ্য হয়ে মেয়েটি সরে আসে। সব পরিচয় মুছে কাজ নেয় ইঁটভাটায়। জন্ম দেয় ফড়িংয়ের। রক্তের গুণে সেও প্রশিক্ষণ ছাড়াই দুর্দান্ত জিমন্যাস্টিকস করে। স্বাভাবিক ভাবেই তার মায়ের এ সব দু’চোখের বিষ। সেই ওঠাপড়া নিয়েই ‘আলতা ফড়িং’-এর গল্প।
ধারাবাহিকে মা-মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন মঞ্চ-পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়-খেয়ালি মণ্ডল। খেয়ালির সঙ্গে পরে জুড়বে প্রেমিক ‘বাবু’ ওরফে অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন। কী ভাবে আসবে সেই পর্ব? তা এক্ষুণি ভাঙতে রাজি নন পরিচালক। ধারাবাহিকের প্রচার ঝলক ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। সেখানে দেখা গিয়েছে খেয়ালি ওরফে ‘ফড়িং’ বাস্তবেও দুর্দান্ত কসরত করে দেখাচ্ছেন। রিয়্যালিটি শো-এর প্রতিযোগী প্রথম অভিনয়ে এসেই এত নিখুঁত জিমন্যাস্টিকস করছেন কী করে? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘‘পঞ্চম শ্রেণি থেকে আমি নিয়মিত জিমন্যাস্টিকস শিখেছি। সেই প্রশিক্ষণ এ ভাবে কাজে লেগে যাবে, ভাবতে পারিনি।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি— তিনি নায়িকা, এটা বুঝে উঠতেই বেশ কয়েকটা দিন কেটে গিয়েছে। খেয়ালির কথায়, ‘‘অভিনয় দুনিয়া একেবারে আলাদা। সেই পরিবেশের সঙ্গে মানাতেও একটু সময় লেগেছে। এখন পুরোটাই উপভোগ করছি।’’