খড়কুটো, তৃনীল, কৃষ্ণকলি
মাস ঘুরতে চলল কিন্তু শোক মুছল না কৃষ্ণকলি ‘শ্যামা’র! ‘গুনগুন’কে ভুলতে পারছে না ‘বাবিন’ও। ফলাফল? প্রথম জন কেঁদে ভাসাচ্ছে। দ্বিতীয় জনের বেজায় মনখারাপ। ৪ ফেব্রুয়ারি ঘটা করে বিয়ে হয়েছে অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য ওরফে ‘নিখিল’ আর ‘গুনগুন’ তৃণার। এত দিন পরে হঠাৎ তাঁদের পর্দার স্বামী-স্ত্রীদের শোক এত উথলে উঠল কেন?
নেট মাধ্যম বলছে, পুরোটাই ঘটেছে মজার ছলে। নেটাগরিকদের মিম হয়। শনিবার সন্ধে থেকে ‘খড়কুটো’র ফ্যানপেজের এই মিম ঘুরছে। যেখানে উপরে জ্বলজ্বল করছে নীল-তৃণার বিয়ের ছবি। নীচে হাপুস নয়নে কাঁদছে শ্যামা, ‘ছোট কত্তা তুমি এটা করতে পারলে?’। পাশে ফোন কানে বাবিন হতাশ হয়ে বিরক্তির সঙ্গে বলছে, ‘গুনগুন তুমি তো বলেছিলে তুমি আমাকে ১ বছর পরে ছেড়ে যাবে!’
মিম পছন্দ হওয়ায় লাইকের পাশাপাশি মজার ইমোজি দিয়ে মন্তব্যও করছেন অনেকে। যদিও বাস্তবের ছবি কিছুটা ভিন্ন। বিয়ের সন্ধেয় গুনগুনের পাশেই দেখা গিয়েছিল তার ‘ক্রেজি’ কৌশিক রায়কে। তিনি নীলেরও বন্ধু। নতুন দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে জানান, পর্দার বৌ’য়ের বিয়ে দেখতে ভালই লাগছে তাঁর। আশা, নীল-তৃণার আগামী দিনগুলোও রঙিন হবে। যদিও বিয়ে, রিসেপশন কোনও অনুষ্ঠানেই দেখা যায়নি নিখিলের টানা ৩ বছরের রিল স্ত্রী ‘শ্যামা’ তিয়াসা রায়কে। তবে উপস্থিত ছিলেন টিম ‘কৃষ্ণকলি’।
নীল-তৃণা, শ্যামা ও সৌজন্যকে নিয়ে মিম
সাতপাক, রিসেপশন ভাল ভাবে মিটতেই ফের কর্তা-গিন্নি যে যার সেটে। নিখিল-শ্যামা উদ্বিগ্ন তাদের মেয়ে কৃষ্ণাকে নিয়ে। কেউ গলা নষ্ট করে দেওয়ার জন্য তাকে বিষ মেশানো পানীয় খাইয়ে দিয়েছে। গুরুতর অসুস্থ কৃষ্ণা ভর্তি নার্সিংহোমে। সে কী পারবে গানের প্রতিযোগিতায় নিজের সেরাটা দিতে?
একটু একটু করে ছেলেমানুষী ভুলে সংসারী হয়ে উঠছে গুনগুনও। সৌজন্য তাকে আইসক্রিম খাওয়াতে চাইলেও রাজি হয় না সে। উল্টে জানায়, বন্ধু, আড্ডা, আইসক্রিম--- কিছুই আর তার ভাল লাগে না। পুটু পিসির অবস্থা দেখে ভয় জেগেছে মনে, সৌজন্যও কি সুকল্যাণের মতোই তাকে ছেড়ে চলে যাবে তিন্নি দিদির কাছে?