বহু বছর পরে ফের আনন্দে ভাসছে কপূর খানদান। একই তারিখে। ১৩ এপ্রিল। বাবার পরে এ বার ছেলের হাত ধরে! রণবীর-আলিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু ১৩ এপ্রিল। বহু বছর আগে একই তারিখে কী ঘটেছিল? তুমুল হইচইয়ের ফাঁকেই বেরিয়ে এল সেই তথ্য। ফাঁস করলেন স্বয়ং পাত্রের মা, নীতু কপূর।
'রণলিয়া'র বিয়ের উদযাপন শুরু ১৩ এপ্রিলেই
মাঝে ৪৩টা বছর। ফের আনন্দে ভাসছে কপূর খানদান। একই তারিখে। বাবার পরে এ বার ছেলের হাত ধরে!
গুলিয়ে যাচ্ছে তো? যাওয়ারই কথা। আসলে এই ১৩ এপ্রিলেই বাগদান সেরেছিলেন ঋষি কপূর। তেতাল্লিশ বছর পরে একই দিনে শুরু হয়ে যাচ্ছে ছেলে রণবীর কপূরের বিয়ের অনুষ্ঠান। 'রণলিয়া'র বিয়ে নিয়ে তুমুল হইচইয়ের ফাঁকেই বেরিয়ে এল এই তথ্য। ফাঁস করলেন স্বয়ং পাত্রের মা, নীতু কপূর।
ঋষি-নীতুর বাগদান হয় ১৯৭৯ সালের ১৩ এপ্রিল। সে দিনের স্মৃতি রোমন্থনে ঋষি-ঘরনি। ইনস্টাগ্রামে আংটি বদলের ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, "বৈশাখীর প্রিয় স্মৃতি। ৪৩ বছর আগে, ১৯৭৯ সালের ১৩ এপ্রিল আমাদের বাগদান হয়েছিল।"
এত বছর পরে একই দিনে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু ঋষি-নীতুর একমাত্র ছেলে রণবীরেরও। সাত পাকের তারিখ নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা ছড়ালেও প্রথম থেকেই শোনা যাচ্ছিল ১৩ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিয়ের আগের রীতি-নিয়মের অনুষ্ঠান। পঞ্জাবি রীতি মেনে চলবে গায়ে হলুদ, সঙ্গীত, মেহেন্দি— সবই।
বুধবার নীতুর পোস্টের পর থেকেই স্পষ্ট, কেন বিয়ের অনুষ্ঠান শুরুর জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিলেন ঋষি-পুত্র। অনুরাগীরা বলছেন, বাবার বাগদানের দিনেই হয়তো নিজের জীবনের বিশেষ অধ্যায়ের সূত্রপাত করতে চেয়েছিলেন রণবীর। সম্ভবত সে কারণেই একই দিনে গায়ে হলুদ-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান হবে রণবীর কপূর ও আলিয়া ভট্টের।
শোনা যাচ্ছে, রীতি মাফিক বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু করার আগে প্রয়াত ঋষিকে শ্রদ্ধা জানাতে এক বিশেষ পুজোর আয়োজন করবে কপূর ও ভট্ট পরিবার। রণবীরের পরিবার এখনও মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও আলিয়ার কাকা রবীন ভট্ট জানান, বিয়ের সব প্রস্তুতি ঠিকমতোই চলছে। তবে বিয়ের ব্যাপারে সব সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিচ্ছেন রণবীর-আলিয়া। কিছুটা প্রথা ভেঙেই।