অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী এবং তাঁর স্ত্রী আলিয়ার বিচ্ছেদের খবর নিয়ে আপাতত সরগরম বলিপাড়া। স্ত্রী আলিয়ার আইনজীবীই প্রথম খবরটা জানিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে। তবে বিচ্ছেদের কারণ যে তিনি বিশদে বলতে পারবেন না, তা নিজেই বলেছিলেন আলিয়া।
এ দিকে আবার কিছু দিন আগেই নওয়াজের পুরনো প্রেমিকা নীহারিকা সিংহ অভিযোগ এনেছিলেন, অভিনেতার অবদমিত কামের শিকার তিনি। যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোর করতেন নওয়াজ, এমনটাই বলেছিলেন নীহারিকা। তা হলে কি নওয়াজের অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং অবদমিত যৌনতাড়নাই বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ? উঠেছিল প্রশ্ন।
অবশেষে মুখ খুলেছেন আলিয়া। মুম্বইয়ের 'স্পটবয়' পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানিয়েছেন, একটা নয়, তাঁর সঙ্গে নওয়াজের বিচ্ছেদের হাজারটা কারণ রয়েছে। তাঁর কথায়, “সারা জীবন আমাকে অপমান করে গিয়েছে ও। ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ ছবির পর হঠাৎ করেই ওর নামডাক হতে শুরু করে। এর পরেই আমার প্রতি ওর আচরণ বদলে যেতে থাকে। আমরা যখন বিয়ে কর্ তখন নওয়াজের কিচ্ছু ছিল না। আমার পয়সায় ঘর ভাড়া নিয়েছিলাম আমরা। এখন ওর চারটে বাংলো হয়েছে, কিন্তু একটা সময় কী ছিল ওর? আজ সব ভুলে গিয়েছে ও। সব। ”
আরও পড়ুন- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরুণ ধওয়নের মাসির!
“আমার সন্তানের তখন ছয় মাস বয়স। পাটলিপুত্রতে প্রায় এক বছরের মতো সময় ধরে একা ছিলাম আমি। আমি ওকে বিয়ে করেছিলাম বলে আমার পরিবারও আমার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করেছিল। আমি আর এবং নওয়াজ দু’জনেই ভিন্ন সম্প্রদায়ের। আমার আসল নাম অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডে। শুধু তাই নয়, আমি বাইরে বেরলেই ওর মহিলা বন্ধুরা বাড়িতে ঢুকত। এ তো গেল আমার কথা। বাবা হিসেবেও কোনও দায়িত্ব পালন করেনি নওয়াজ। একা একা সন্তানের জন্ম দিয়েছি। ৩/৪ মাসে একবার ফোন করত আমাদের। এবং তাও অফিসের নম্বর থেকে। কিছু বললে বলত, আউটডোর শুটিংয়ে রয়েছি,” যোগ করেন আলিয়া।
বিচ্ছেদের পর কী হবে এই মুহূর্তে তা জানেন না আলিয়া, তবে এই বিয়ে যে কিছুতেই তিনি আর বয়ে নিয়ে যেতে পারছিলেন না সে কথা স্পষ্টতই জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- পুরসভার ব্যর্থতা নিয়ে এ বার সরাসরি তোপ শোভনের
এ দিকে গোটা ঘটনায় নওয়াজ এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি বললেই চলে। তবে তাঁর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ঘুমকেতু’-তে ব্যক্তিগত জীবনের কেচ্ছা বেশ প্রভাব ফেলেছ্ সে কথা এক সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজেই স্বীকার করেছেন নওয়াজ। আলিয়া ডিভোর্সের নোটিস পাঠালেও এখনও পর্যন্ত সে চিঠির কোনও জবাব দেননি নওয়াজ। তাঁর সিদ্ধান্ত কী হতে চলেছে, তা দেখতে মুখিয়ে ফ্যানেরা।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আলিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় নওয়াজের। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে।