Nizam Palace

Narada case: ধর্না নেতা-মন্ত্রীদের জন্য, সাধারণ কর্মীদের বাড়ি যেতে বললেন না কেউ, অসন্তুষ্ট জিতু

নিজাম প্যালেসে কেন ধর্না? মানবিকতা পরিবর্তনের জন্য দায়ী কে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২১ ১৬:২৭
Share:

জিতু কমল, অভিনেতা।

এক দিকে দেশ, রাজ্যজুড়ে অরাজকতা। কর্মনাশা লকডাউন। অন্য দিকে, সংক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে মানুষ মানুষকে এড়িয়ে চলছে। এ সব নিয়েই ফের সরব জিতু কমল। মঙ্গলবার নেটমাধ্যমে তিনি একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে বাকিদের মতোই পরের পর ঘটতে থাকা নেতিবাচক ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। কী ভাবে অতিমারি আর শাসক গোষ্ঠী ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষকে ‘পাষাণ’ করে তুলছে? বদলে দিচ্ছে মন আর মানসিকতা? তাই উল্লেখ করেছেন জিতু।

Advertisement

অভিনেতার ধিক্কার, এর পরেও ‘আমরা রং আর রাজনীতি নিয়ে মারপিট করব!’ আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘সোমবার নিজাম প্যালেসে ধর্না শুধুই নেতা-মন্ত্রীদের জন্য। সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি পাঠানোর কথা কেউ বললেন না!’’ পোস্টের শুরুতে জিতু মানবিক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, আগেকার শোক আর এখনকার শোকের পার্থক্য। তাঁর দাবি, আপনজনের জন্য কান্না, হাহাকার, আর্তনাদ, এ গুলো এখন অতীত। বছর খানেক আগেও আশেপাশে কোনও বাড়িতে মৃত্যু হলে টের পেতেন তিনি। আপনজন অ্যাম্বুলেন্সে উঠলেই বাড়ির মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসত।তাঁর মনে হচ্ছে সেই পরিবেশ নাকি একেবারেই বদলে গিয়েছে।

জিতু দেখছেন, এখন মৃত্যুর পর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কো-মর্বিডিটির খোঁজ চলে। ভ্যাকসিনের ক’টা ডোজ নেওয়া ছিল, তার খোঁজ চলে। 'বডি' বাড়িতে আসবে নাকি? তার খোঁজ চলে। 'বডি'কোথায় দাহ করা হবে বা কবর দেওয়া হবে, তারও খোঁজ চলে। শোকের বদলে ক্রমশ যেন জায়গা করে নিচ্ছে সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা। যা দেখে অভিনেতার আক্ষেপ, সবাই ভেতর থেকে পাষাণ হয়ে যাচ্ছে? কতটা পাষাণ হতে বাধ্য করা হচ্ছে? সেই প্রশ্নও উঠেছে তাঁর মনে।

Advertisement

সব দেখে শুনে অভিনেতাও কি হতাশায় ভুগছেন? আনন্দবাজার ডিজিটালকে জিতু জানিয়েছেন, পরিস্থিতি তাঁকে এমনটা লিখতে বাধ্য করেছে। ‘‘অতিমারি ঠেকাতে গিয়ে এখন আর কেউ দেহ বাড়িতে আনতেই চান না। হাসপাতাল থেকে শ্মশানে দাহ করে ফিরতে পারলে বাঁচেন! এটাই কি আমাদের মানবিকতা?কী নিয়ম এল"! এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন কেন্দ্র, রাজ্য উভয়কেই। যুক্তি, ‘‘কেন্দ্র-রাজ্যকে ট্যাক্স, জিএসটি দেওয়ার পরেও ভ্যাক্সিন দেবে না। চিকিৎসা পরিষেবা দেবে না। গ্যাস, পেট্রলজাত দ্রব্যের দাম বাড়াবে। চাকরি দেবে না।’’ পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্যের মতোই কেন্দ্রের প্রতি তাঁর তোপ, অতিমারির মধ্যে কেন্দ্র এসে উৎপাত চালাবে রাজ্যে। লকডাউন ভেঙে শ’য়ে শ’য়ে জনতা পথে নামবে। সংক্রমণ ছড়াবে হাওয়ার বেগে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement