বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ডায়েরিয়ার প্রবল সমস্যায় ভর্তি হন হাসপাতালে। গত দু'সপ্তাহ মুম্বইয়ের ওই বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন থাকার পরে সেরে উঠেছেন মুমতাজ। সেখান থেকেই দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তাঁর বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবটাই।
মুমতাজ। তখন ও এখন।
২৫ বছর আগে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার জের আজও ভুগতে হয় মুমতাজকে। ষাট ও সত্তরের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বাঁ হাত এখনও তাঁকে মনে করায় সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোর কথা।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ডায়েরিয়ার প্রবল সমস্যায় ভর্তি হন হাসপাতালে। গত দু'সপ্তাহ মুম্বইয়ের ওই বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন থাকার পরে সেরে উঠেছেন। সেখান থেকেই টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবটাই।
ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম এবং কোলাইটিসের রোগী মুমতাজকে এ ক'দিন ড্রিপ নিতে হয়েছে রোজই। তবে শুধু ডান হাতেই। অভিনেত্রী বলেন, "২৫ বছর আগে আমি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হই। অস্ত্রোপচারে তখন লিম্ফ নোডগুলি বাদ দেওয়া হয়। তাই বাঁ হাতে এখনও সূচ ফোটাতে পারি না। জন্মসূত্রে ইরানি হওয়ায় এমনিতেই আমার ত্বক ভারতীয়দের তুলনায় অনেকটাই কোমল ও অনুভূতিপ্রবণ। সেটাও একটা সমস্যা।’’
সব পেরিয়ে আপাতত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ‘খিলোনা’, ‘দো রাস্তে’র মতো তুমুল জনপ্রিয় ছবির নায়িকা। ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক ফিরোজ সুনাওয়ালা এবং হাসপাতালের চিকিৎসক রাজেশ সাইনানিকে। বলেছেন, হাসপাতালের সকলে ফুলের মতো যত্নে রেখেছিলেন তাঁকে।
এ ক’দিনে নিজের প্রায় পঞ্চাশ বছরের জীবনসঙ্গী ময়ূর মধওয়ানির ভালবাসাও ভরিয়ে রেখেছে মুমতাজকে। কর্মসূত্রে ময়ূর এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। স্ত্রীর অসুস্থতার খবরে ফিরে আসতে চান তিনি। মুমতাজের চিকিৎসা, তাঁর যাবতীয় দেখভাল, যত্নের ব্যবস্থা— সবই নিশ্চিত করেছেন বিদেশ থেকেই। সেই ‘তেরে মেরে প্যায়ার কে চর্চে’ এখন সবার মতোই মুমতাজের ‘জবান’-এও। নিজের মুখেই তাই অভিনেত্রী বলছেন, ‘‘ও আমায় আজও ভীষণ ভালবাসে। ওঁকে স্বামী হিসেবে পাওয়া আমার পরম ভাগ্য।’’
ভালবাসার সেই মানুষের ঘরেই এ বার ফিরে যাবেন মুমতাজ। আগামী ১০ মে মুম্বই ছেড়ে তিনি উড়ে যাচ্ছেন লন্ডনে, স্বামীর কাছেই।