ত্রুফো ও কিয়ারোস্তামি
লকডাউনের জেরে বাড়ছে ওটিটি মাধ্যমগুলির গ্রাহকসংখ্যা। বিশ্বজুড়ে গত কয়েক মাসে নেটফ্লিক্সের গ্রাহকসংখ্যা ছাড়িয়েছে কোটিরও বেশি। এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিজ়, সিনেমা দর্শক চুটিয়ে দেখছেন। এর মাঝেই সিনেপ্রেমীদের জন্য সুখবর আনল নেটফ্লিক্স। ফরাসি সংস্থা এমকেটু-র সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তি হয়েছে এই সংস্থার। সেই চুক্তির আওতায় সর্বকালের সেরা ৫০টি ছবির সংরক্ষিত ভার্সন মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ঠিক হয়েছে, ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো, অ্যালাঁ রেনে, ক্রিস্তফ কিসলস্কি, আব্বাস কিয়ারোস্তামির বেশ কিছু ছবি রিলিজ় করা হবে। এমকেটু এমনিতে ছবি প্রযোজনা, ডিস্ট্রিবিউশন এবং রেস্টোরেশনের কাজে যুক্ত। চার্লি চ্যাপলিন, বাস্টার কিটনের অনেক ছবি টুকে এবং ফোরকে মোডে রেস্টোর করেছে সংস্থাটি। প্রাথমিক ভাবে ত্রুফোর ‘ফারেনহাইট ফোর হান্ড্রেড অ্যান্ড ফিফটি ওয়ান’, ‘দ্য ফোর হান্ড্রেড ব্লোজ়’, ‘দ্য উওম্যান নেক্সট ডোর’, ‘কনফিডেনশিয়ালি ইয়োর্স’ ছবি নেটফ্লিক্সে দেখানো হবে। ক’বছর আগের চুক্তি অনুযায়ী, কিয়ারোস্তামির ২০টি ছবির ফোরকে মোডে রেস্টোর করেছিল এমকেটু। তার মধ্যে পরিচালকের ‘হোয়্যার ইজ় দ্য ফ্রেন্ডস হোম’, ‘লাইফ, অ্যান্ড নাথিং মোর’, ‘দ্য ট্রাভেলার’, ‘দি উইন্ড উইল ক্যারি আস’, ‘টেস্ট অব চেরি’ও দেখা যাবে শিগগিরই। এমকেটু-র সিইও নাথানেল কারমিৎজ়ের বক্তব্য, ‘‘এই সংস্থা প্রায় ৮০০টি ওয়র্ল্ড ক্লাসিক সংরক্ষণের কাজ করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে যত ভাল সিনেমা তৈরি হয়েছে, সেগুলো শুধু সংরক্ষণই নয়, দুনিয়ার যুব সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়াই এই চুক্তির উদ্দেশ্য। এতে শুধু কোনও বিশেষ ঘরানার ছবিই দেখা হবে, এমন নয়। সেই দেশটির ইতিহাস, সংস্কৃতিও আরও স্পষ্ট হবে।’’
প্রসঙ্গত, ফরাসি, ইরানি, পোলিশ বা ওরিয়েন্টাল... সর্বোপরি বিদেশি ছবি দেখার জন্য সাধারণ মানুষকে চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বারস্থ হয়েই থাকতে হত। তা-ও রেট্রোস্পেক্টিভ ছাড়া সব সময়ে ক্লাসিক ছবি দেখার সুযোগ থাকত না। ফলে যেনতেন প্রকারে সে সব ছবি জোগাড় করা ছাড়া উপায় থাকত না।
তাই সংরক্ষিত এই ছবিগুলি নেটফ্লিক্সের মতো প্ল্যাটফর্ম পাওয়ায় তা শুধু সর্বসাধারণের কাছে সহজলভ্যই হয়নি, পাশাপাশি সিনেমাপ্রেমীরা হাতের মুঠোয় যেন চাঁদ পেয়েছেন!
আরও পড়ুন: মা হওয়ার প্রতীক্ষায় জন্মদিন কাটাচ্ছেন কোয়েল