নুসরত জাহান।
‘‘ভোট এলেই ‘লভ জিহাদ’ শব্দটা ঘুরে ফিরে আসে। অথচ দুটো শব্দের সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থ। কিছুতেই পাশাপাশি বসতে পারে না’’, সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রথম ‘লভ জিহাদ’ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন সাংসদ-তারকা নুসরত জাহান।
সংসদ ভবনে শপথ নেওয়ার দিন থেকে এই নিয়ে কখনও প্রকাশ্যে, কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ট্রোলড।
কী কারণে?
মৌলবী এবং হিন্দু ধর্মগুরুদের দাবি, মুসলিম হয়ে নিখিল জৈনকে বিয়ে করার জন্য। তাই বিয়ের পর শাড়ি, চূড়া, সিঁদুর, মঙ্গলসূত্র পরে সংসদ ভবনে পা রাখতেই দুই ধর্মের মানুষদের বিদ্বেষের নিশানায় সাংসদ-তারকা।
কিছুদিন আগেই এক প্রথম সারির এক গয়না সংস্থার বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্কের সময়েও উঠে আসে নুসরত-নিখিলের নাম। সেখানে দেখানো হয়েছিল, হিন্দু মেয়ে মুসলিম ঘরের বউ হয়েও ‘সাধ’ খাচ্ছেন পরম আদরে। একুশ শতকে দাঁড়িয়েও এই উদারতা মেনে নিতে পারেনি এক শ্রেণির নেটাগরিক। তাদেরই একটা অংশ নতুন করে ফের টেনে আনেন তারকা দম্পতির বিয়ের প্রসঙ্গ। সঙ্গে বাঁকা উক্তি। তারা বলে, 'অন্যদের মডেল করার দরকারই ছিল না। যেখানে ‘রোল মডেল’ নিখিল-নুসরত রয়েছেন!'
আরও পড়ুন: লাল পতাকায় সমর্থন! রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন শ্রীলেখা?
সেদিন টুঁ শব্দ করেননি সাংসদ। আজ তিনি খোলাখুলি বলেন, ‘‘দেশের অন্যান্য রাজ্যে এই বিশেষ শব্দের অস্তিত্ব হয়ত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ ভেদের ঊর্ধ্বে। তিনি সব মত, সব পথে সমান বিশ্বাসী। তাই এখানে কোনও ‘জিহাদ’-এরই জায়গা নেই।’’
একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, আজকের প্রজন্ম কিন্তু রাজনীতির সঙ্গে ধর্ম বা ভালবাসাকে এক আসনে বসায় না। সেই জন্যেই তিনি কোনও বিশেষ এক ধর্মাবলম্বী হয়েও সম্মান করেন সমস্ত ধর্মকে। নুসরতের দাবি, ‘‘ভাল দেশ গড়তে ভালবাসা থাকা ভীষণই জরুরি। তাই দেশবাসী, রাজ্যবাসী মন খুলে একে অপরকে ভালবাসুন। যাতে ‘লভ’ শব্দের পাশে ‘জিহাদ’ কখনওই জায়গা করে নিতে না পারে।’’
আরও পড়ুন: পার্টিতে সবার সামনে শাহরুখের কলার চেপে ধরেন সলমন, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই তারকা